ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সৌদি আরবের তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ২:৩৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯

সৌদি আরবের অন্যতম বড় দু’টি তেলক্ষেত্রে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এর ফলে তেল উৎপাদন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। সৌদি আরব শনিবার ড্রোন হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। এদিকে এ ড্রোন হামলার জন্যে যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করে এর নিন্দা জানিয়েছে।

সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলে আরামকো তেল ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ তেল উৎপাদন কেন্দ্রে ভোরে ড্রোন হামলার পর ঘন ধোঁয়ার কুন্ডলী আকাশের দিকে উড়তে দেখা গেছে। ড্রোনের সাহায্যে এ তেল ক্ষেত্রে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ফলে, সাময়িকভাবে তেল উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়। আর এ কারণে তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। সৌদি জ্বালানী মন্ত্রী আবদুল আজিজ বিন সালমান এ কথা জানান।

এদিকে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের আল মাসিরাহ টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, ওই তেলক্ষেত্রে ১০টি ড্রোনের অংশগ্রহণে বড়ো ধরণের হামলা চালানো হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ হামলার জন্যে তেহরানকে দায়ী করে বলেছে, বিশ্বের জ্বালানী সরবরাহের ওপর ইরান নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে।

টুইটার বার্তায় তিনি আরো বলেন, তেলের বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত এবং এ আগ্রাসনের জন্যে ইরানকে জবাবদিহির আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্র তার অংশীদার ও মিত্রদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজ প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে টেলিফোনের কথা বলার পর হোয়াইট হাউস বিশ্ব অর্থনীতির জন্যে গুরুত্বপূর্ণ এই অবকাঠামোতে হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

সৌদি সরকারি সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, যুবরাজ সালমান এক বিবৃতিতে বলেছেন যে তারা সন্ত্রাসী এই হামলার জবাব দিতে ইচ্ছুক এবং এ সামর্থ্য তাদের আছে।

ওয়াশিংটন এমন এক সময়ে তেহরানকে দায়ী করে এর নিন্দা জানিয়েছে যখন আসন্ন জাতিসংঘ অধিবেশনে ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির মধ্যে বৈঠকের চেষ্টা করা হচ্ছিল।

সউদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মানসুর আল তুর্কি বলেছেন, এ হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে তাৎক্ষণিক ভাবে ক্ষতির পূর্নাঙ্গ চিত্রও পাওয়া যায়নি।

 
Electronic Paper