ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাহুল গান্ধীকে কাশ্মীর যেতে বাধা

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৯:১২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০১৯

কাশ্মীর যাওয়ার পথে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছলেও যেতে দেওয়া হয়নি। উল্টো সেখান থেকেই আরও ১১ রাজনীতিবিদসহ রাহুল গান্ধীকে দিল্লিতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

শনিবার সরকারি নিষেধ উপেক্ষা করে রাহুল তার সহযাত্রীদের নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর রওনা হওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর তাদের শ্রীনগর বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়।

জানা যায়, বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক নেতাকে কাশ্মীরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে রাজ্যটিকে কেন্দ্রশাসিত দুটি অঞ্চলে ভাগ করে।

বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকেই সেখানে বিশেষ করে রাজ্যের সবচেয়ে বড় নগরী শ্রীনগরে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং নানা জায়গায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভের খবর পাওয়া যাচ্ছে। গত শুক্রবার পরিস্থিতি শান্ত ছিল না।

এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক নেতাদের কাশ্মীর সফর করা উচিত হবে না বলে এক টুইটে পরামর্শ দিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর ইনফরমেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন অধিদফতর। অফিসিয়াল টুইটারে তার বলছে, ‘এমন একটা সময় যখন সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে সীমান্তের ওপার থেকে আসা সন্ত্রাসবাদ ও হামলা থেকে সুরক্ষার চেষ্টা করছেন তখন রাজনৈতিক নেতাদের শ্রীনগর সফরে যাওয়া উচিত হবে না। কারণ, তাতে অন্য লোকজন অসুবিধায় পড়বেন।’

এদিকে রাহুলের আগে কংগ্রেস পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা গুলাম নবী আজাদ এর আগে দুবার কাশ্মীর যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। দুবারই তাকে জম্মু বিমানবন্দরে আটকে দিয়ে জোর করে দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার তিনি এ চেষ্টা করেছিলেন বলে জানায় এনডিটিভি।

এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীকে অবশ্য জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নর সত্য পাল মালিক গত ১১ আগস্ট পরিস্থিতি নিজ চোখে দেখতে কাশ্মীর সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তখন তিনি রাহুলের জন্য কেন্দ্র থেকে দেওয়া উড়োজাহাজ পাঠাতেও চেয়েছিলেন।

জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর রাহুল বলেছিলেন, তিনি সেখানে ‘সংঘর্ষ এবং বহু মানুষের মৃত্যুর’ খবর পাচ্ছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নর তাকে ওই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। গভর্নরের আমন্ত্রণ পাওয়ার দুদিন পর রাহুল তা গ্রহণ করেন। কিন্তু ততক্ষণে গভর্নর তার মত বদলে আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করেন এবং রাহুলের ভ্রমণের ওপর কিছু শর্ত আরোপ করে বিবৃতি দেন।

গভর্নর মালিক বিবৃতিতে বলেন, ‘রাহুল গান্ধী তার সঙ্গে বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের আনতে চেয়ে বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছেন। যা আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এবং এখানে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়তে পারেন।’

শেষ পর্যন্ত নিজস্ব এবং দলীয় তাগিদ দিয়ে শ্রীনগর পর্যন্ত পৌঁছতে পারলেও বিমানবন্দরে আটকে যান কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী। শুধু আটকে নয়, উল্টো দিল্লিতে ফেরত গেছেন রাহুল গান্ধী।

 
Electronic Paper