কাশ্মীরে স্কুল খুললেও নেই শিক্ষার্থী
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৯:৩৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০১৯
স্বায়ত্তশাসন বিলোপ করার পর থেকেই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। কাশ্মীর উপত্যকার প্রধান শহর শ্রীনগরের বাসিন্দাদের মধ্যে প্রতিনিয়তই বাড়ছে অস্থিরতা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনাতিপাত করছেন সেখানকার মানুষ। স্কুলগুলো খুললেও নিরাপদবোধ না করায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাননি। যার ফলে অধিকাংশ স্কুলগুলোর শ্রেণিকক্ষেই কোনো শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল না।
সোমবার শ্রীনগরের স্কুলগুলো ঘুরে এমন দৃশ্য দেখেছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিকরা। তারা নগরীর দুই ডজনেরও বেশি স্কুল পরিদর্শন করে শ্রেণিকক্ষগুলো ফাঁকা ও সেখানে অল্প কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত আছেন বলে দেখতে পেয়েছেন।
৫ আগস্ট এক ঘোষণায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে অঞ্চলটিকে পুরোপুরি ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দেয়। পাশাপাশি ভারতের অন্যান্য অংশের নাগরিকদের জন্য অঞ্চলটির জমি কেনার ও সরকারি চাকরি প্রার্থী হওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত করে দেয়।
জম্মু ও কাশ্মীরে বড় ধরনের প্রতিবাদ বিক্ষোভ ঠেকাতে সেখানে নজিরবিহীন বিধিনিষেধ জারি করেছিল ভারতীয় কর্তৃপক্ষগুলো। বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হওয়ার পর শ্রীনগরের প্রায় ১৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলেছে। কিন্তু অধিকাংশ স্কুলেই শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার অত্যন্ত কম ছিল।
শ্রীনগরের এক শিক্ষকের মন্তব্য, ‘এ রকম সহিংস পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসবে কীভাবে? সরকার ছোট ছোট এই শিশুদের কামানের গোলার মুখে ঠেলে দিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকা উচিত।’
অভিভাবকরা বলছেন, মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক চালু হলে সন্তানদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে পারবেন তারা, তখন বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাবেন, তার আগ পর্যন্ত তাদের সন্তানরা বাসায়ই থাকবে।
বাতামাল্লো এলাকার একটি স্কুলের দুই শিক্ষার্থীর বাবা গুলজার আহমেদ বলেন, ‘গত সপ্তাহগুলোতে সৈন্যরা ছোট ছোট শিশুদেরও গ্রেফতার করেছে এবং কয়েকটি শিশু আহতও হয়েছে। বাড়ির ভিতরে শিশুরা নিরাপদ আছে। তারা স্কুলে গেলে তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা কে দেবে?’