মালয়েশিয়ায় নাগরিকত্ব সংকটে জাকির নায়েক
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০১৯
ভারতীয় ইসলামি চিন্তাবিদ ও বিতর্কিত বক্তা জাকির নায়েক মালয়েশিয়ায় স্থায়ী নাগরিকত্ব হারাতে পারেন। সম্প্রতি ধর্মীয় ও জাতিগত ইস্যুতে তার বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মালয়েশিয়াজুড়ে তীব্র অসন্তোষ শুরু হয়েছে।
এরপরই দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, ‘জাকির নায়েকের স্থায়ী নাগরিকত্বের বিষয়ে পুলিশের তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে। জাতিগত দ্বন্দ্বের কোনো প্রমাণ পেলে জাকিরের স্থায়ী নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে। তিনি কী করছেন সে বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। যদি তিনি দেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু করেন তাহলে তার স্থায়ী নাগরিকত্ব বাতিলের প্রয়োজন হবে।’
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী গত শুক্রবার বলেন, সম্প্রতি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার বক্তব্যের বিষয়টি পুরোপুরি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে।
এদিকে গত শুক্রবার এ বিষয়ে বিতর্কিত এই ধর্মীয় বক্তাকে টানা সাত ঘণ্টা জেরা করেছে মালয়েশিয়ার গোয়েন্দা বাহিনী। জাকির নায়েক একজন ভারতীয় নাগরিক। দুর্নীতির অভিযোগে ভারতে তিনি ‘ওয়ান্টেড’। জাকির নায়েক কয়েক বছর ধরে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন।
সিঙ্গাপুরে প্রবেশের ক্ষেত্রেও তার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ইতোমধ্যে জাকির নায়েকের পিস টিভির প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে ভারত, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ। একপর্যায়ে তিনি মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেন। এরমধ্যেই তাকে নিষিদ্ধ করেছে মালয়েশিয়ার সারাওয়াক প্রদেশের সরকার।
প্রদেশটির উপপ্রধান মুখ্যমন্ত্রী জ্যামস জামুত মাসিং বলেন, ‘তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য বিপজ্জনক হওয়ায় প্রদেশে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল প্যাট্রিয়টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দাতুক মোহম্মদ আরশাদ রাজি। সংগঠনটির দাবি, মালয়েশীয়দের নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া বন্ধ করুক জাকির নায়েক।
এর আগে ‘এক্সিকিউটিভ টক বারসামা ড. জাকির নায়েক’ অনুষ্ঠানে নিজের স্বেচ্ছা নির্বাসন সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে জাকির নায়েক বলেন, ‘মালয়েশিয়ান চীনারা ফিরে যান। আপনারা এই দেশের পুরনো অতিথি। ভারতে মুসলমানদের তুলনায় মালয়েশিয়ায় হিন্দুরা ১০০ শতাংশেরও বেশি অধিকার ভোগ করে।’
এরপর থেকেই তাকে বহিষ্কারের দাবি জোরালো হচ্ছে। স্থায়ী নাগরিকত্ব নিয়ে ২০১৫ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় বাস করছেন জাকির নায়েক।