রাখাইনে তীব্র লড়াই
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ০৮, ২০১৯
মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা ও আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে দশ দিন ধরে তীব্র লড়াই চলছে। তাদের এই যুদ্ধাবস্থায় ৩০টি গ্রাম থেকে বসতবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাসী। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়ের উদ্দেশে ছুটেছেন অন্তত ছয় হাজার অধিবাসী। দিন দিন এই সহিংসতার মাত্রা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম মিয়ানমার টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ জুলাই থেকে রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে লড়াই চলছে। দিন দিন এ লড়াই তীব্র হয়েছে এবং গত দশ দিনের মধ্যে শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার বেড়েছে। শরণার্থীরা দন থার, মইন তান মা, তাং পোনে কে, সেট তারা, কিউক সাউং, পোনে থার এবং লাত খুউত-সহ প্রায় ৩০টি গ্রামের বাসিন্দা। এ গ্রামগুলোতে লড়াই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। জোন থার এবং কিউক মাওয়াসহ প্রায় ১০টি গ্রাম সংঘাতের মধ্যে পড়ে গেছে।
সংঘর্ষ এলাকা মিনবায়া অঞ্চলের সংসদ সদস্য ইউ হলা থেইন অং বলেন, শরণার্থীদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা প্রয়োজন। এখনো কোনো সহায়তা সরবরাহ করা হয়নি। গত কয়েকদিন ধরে লড়াই তীব্র আকার ধারণ করেছে। আমরা সংঘর্ষের কারণে জড়িত গ্রামগুলোকে সহায়তা দিতে পারিনি। মিনবায়ার সুশীল সমাজের গোষ্ঠী শরণার্থী শিবিরে কিছু খাবার সরবরাহ করছে। আমাদের সরকারের সহায়তা দরকার। গত কয়েকদিন ধরে মিনবায়ার কালামা তুং এবং বু চুং গ্রামের আশপাশে সামরিক ও এএ-এর মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র হয়েছে। ২৭ জুলাই কালামা তুংয়ের গ্রামগুলো থেকে বাঁচতে ৬ হাজার শরণার্থী এসেছে। তিনি বলেন, এদের মধ্য আটটি মঠে প্রায় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার লোকের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকিরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
রাখাইন জাতিগত কংগ্রেসের (আরইসি) সেক্রেটারি জেনারেল কো জাও জাউ তুন এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, সেখানে প্রবেশ করা কঠিন। ৩ হাজারেরও বেশি গ্রামবাসী আটকা পড়েছে বলে আমাদের বিশ্বাস। লড়াই এতটাই মারাত্মক যে, সাহায্যকারী সংস্থাগুলো এমনকি সরকারি সংস্থাগুলোও এই অঞ্চলে যেতে সাহস পায় না।
সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে, ২ আগস্ট সিটওয়ে অঞ্চলের কাছে ইয়ার টাও গ্রাম থেকে দুই কিলোমিটার দূরে আরাকান আর্মির একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের সন্ধান পাওয়া গেছে।