ভারতীয় দূতকে বহিষ্কার পাকিস্তানের
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১০:২২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ০৮, ২০১৯
ভারতশাসিত কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা (৩৭০ ধারা) ও ৩৫-এ অনুচ্ছেদ বাতিলের জেরে ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। পাশাপাশি দিল্লি থেকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে পাকিস্তান সরকার।
একই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে দেশটি। এ ছাড়া বিষয়টি রাষ্ট্রপুঞ্জে তোলা হবে বলেও ঘোষণা করল ইমরান খানের সরকার। তবে পাকিস্তানের এই ঘোষণার পর নয়াদিল্লি এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সুরক্ষা কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ভারতের এই সিদ্ধান্ত বেআইনি দাবি করে গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের সংসদে কড়া বক্তব্য দেন ইমরান খান। এর পর বুধবার একটি জাতীয় সুরক্ষা কমিটির উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। যদিও সরকারিভাবে সে কথা ঘোষণা করা হয়নি। তবে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে এই দাবি করা হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
ওই বৈঠকের পর মূলত পাঁচটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। পাক সরকারের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডলে জানানো হয়েছে, নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে দেবে ইসলামাবাদ। বন্ধ করে দেবে ভারত-পাক দ্বিপক্ষীয় বৈদেশিক বাণিজ্য। এ ছাড়া দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করে পুনর্বিন্যাস করা হবে।
বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, বিষয়টি জাতিসংঘে তোলা হবে। পাকিস্তান স্বাধীনতা দিবস পালন করে ১৪ অগস্ট। এবারও পাক অধিকৃত কাশ্মীরিদের নিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ।
বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ভারতের নিষ্ঠুর বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ, চক্রান্ত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কীর্তি ফাঁস করতে সব কূটনৈতিক কৌশলের সাহায্য নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি জানিয়েছেন, ‘নয়াদিল্লিতে আমাদের কোনো রাষ্ট্রদূত থাকবেন না এবং এখানেও তাদের অনুরূপ পদমর্যাদার ভারতীয়দের রাখা হবে না।’