তসলিমার ভিসার মেয়াদ বাড়াল ভারত
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০১৯
ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনের ভিসার মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধি করেছে দেশটি। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার তার এই ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে। বাংলাদেশ থেকে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে বসবাসের মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়ে আসছেন তসলিমা। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, আগামী ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত তসলিমা নাসরিনের জন্য ভারতে বসবাসের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে ৫৬ বছর বয়সী এই লেখিকাকে তিন মাসের ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে উল্লেখ করে ভিসার মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর অনুরোধ জানান।
টুইটে তিনি লেখেন, ‘সম্মানিত অমিত শাহ জি, আমার বসবাসের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কিন্তু আমি বিস্মিত হয়েছি, মাত্র তিন মাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আমি পাঁচ বছরের জন্য আবেদন করেছিলাম, কিন্তু আমাকে মাত্র এক বছরের জন্য দেওয়া হয়েছে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জি ৫০ বছরের জন্য ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন। ভারতই আমার একমাত্র বাড়ি। আমি নিশ্চিত, আপনি আমাকে উদ্ধার করবেন।’
গত ১৭ জুলাই দেওয়া টুইটে তসলিমা লেখেন, ‘প্রত্যেকবার আমি ভিসার মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানোর জন্য আবেদন করি। কিন্তু প্রতিবারই এক বছরের জন্য দেওয়া হয়। এবারও আমি পাঁচ বছর বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছিলাম, পেয়েছি মাত্র তিন মাসের।’
এর মাত্র দুদিনের মাথায় ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তসলিমা নাসরীনের ভিসার মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্তের কথা জানাল।
বাংলাদেশের নারীবাদী লেখিকা হিসেবে পরিচিত তসলিমা নাসরিন ক্রমাগত খুনের হুমকির মুখে ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাড়েন। তখন থেকেই তিনি নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন। গত দুই দশকের বিভিন্ন সময়ে তিনি ইউরোপ এবং আমেরিকার বিভিন্ন দেশে বসবাস করেছেন। এর মাঝেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসের আগ্রহ প্রকাশ করেন, বিশেষ করে কলকাতায়।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, তসলিমা নাসরিন ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসেরও আবেদন করেছেন। তবে সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।