ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিশ্ব শরণার্থী দিবস আজ

প্রতিদিন বাস্তুচ্যুত ৩৭ হাজার মানুষ

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১০:২১ পূর্বাহ্ণ, জুন ২০, ২০১৯

গত এক বছরে বিশ্বে বাস্তুচ্যুতদের মিছিলে শামিল হতে বাধ্য হয়েছেন ২৩ লাখ মানুষ। বর্তমানে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৮০ লাখে। সেই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৩৭ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন। গত ২০ বছর আগে এটি ছিল বর্তমানের অর্ধেক। আর কোনো জাতি হিসেবে চতুর্থ বৃহৎ শরণার্থী জনগোষ্ঠী মিয়ানমারের। যাদের অধিকাংশকেই আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ।

গত বুধবার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন চিত্র তুলে ধরে সংস্থাটি। সেখানে বলা হয়, ১৯৫১ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত যেখানে মোট জনসংখ্যার মধ্যে বাস্তুচ্যুত হওয়ার হারটা ছিল হাজারে ৩.৭ শতাংশ। কিন্তু ২০১৮ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৯.৩ শতাংশে। বিশ্বজুড়ে ক্রমন্বয়ে বেড়ে চলা যুদ্ধ, ধর্মীয় ও জাতিগত বিদ্বেষ, দেশের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে প্রতিনিয়তই ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, আমরা এই সংখ্যার মাধ্যমে কী দেখতে পাচ্ছি? এই সংখ্যা মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিনের ক্রমবর্ধমান এই প্রবণতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত। যুদ্ধ, ধর্মীয় বিদ্বেষ, দেশের অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিবেদনে মূলত তিনটি দলের কথা বলা হয়েছে। প্রথম দলটি হলো শরণার্থী, যারা অভ্যন্তরীণ কোন্দল, যুদ্ধ ও ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দ্বিতীয় দলটি হলো আশ্রয়প্রার্থী। যাদের সংখ্যা ৩৫ লাখ। এরা দেশের বাইরে জন্মগ্রহণ করেছে। যদিও এখন তারা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তদারকির মধ্যে আছে কিন্তু তাদের শরণার্থীর স্বীকৃতিও দেওয়া হচ্ছে না। তাদেরও তালিকায় রাখা হয়েছে। তৃতীয় দলটি হলো দেশের ভেতরেই বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি। অর্থাৎ দেশেই আছে কিন্তু নিজের বসতভিটায় নেই। এদের বলা হচ্ছে আইডিপি। অর্থাৎ ইন্টারনালি ডিসপ্লেসড পারসনস। যাদের সংখ্যাও নেতাহ কম নয়। গোটা বিশ্বে এরকম মানুষ আছেন এখন প্রায় ৪ কোটি।

গোটা বিশ্বে যত শরণার্থী আছে তাদের দুই-তৃতীয়াংশ হলো সিরিয়া, আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান, মিয়ানমার এবং সোমালিয়ার। আর এই তালিকায় সিরিয়া আছে সবার উপরে। দেশটি থেকে মোট শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। সিরিয়ার পর ২৭ লাখ শরণার্থী নিয়ে আফগানিস্তান তালিকার দুই নম্বরে রয়েছে।
সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে।

ইউএনএইচসিআরের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের শেষ দিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ, যা ২০১৭ সালেও প্রায় একই ছিল। ২০১৮ সালের শেষে মিয়ানমারের শরণার্থীদের সবচেয়ে বেশি আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ (নয় লাখ ছয় হাজার ৬০০ জন)। ২০১৭ সালে এ সংখ্যা ছিল কিছুটা বেশি’ নয় লাখ ৩২ হাজার ২০০ জন।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরের স্থানে পর্যায়ক্রমে আছে ‘মালয়েশিয়া (এক লাখ ১৪ হাজার ২০০ জন), থাইল্যান্ড (৯৭ হাজার ৬০০ জন) ও ভারত (১৮ হাজার ৮০০ জন)।

 
Electronic Paper