এক টেবিলে মোদি-ইমরান
দেখা হলো কথা হলো না
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৫, ২০১৯
মুখোমুখি হয়েও কথা হলো না। কাছাকাছি এসেও সমস্যার সমাধান হলো না। বরং এড়িয়েই গেলেন একে অপরকে। ফলে সমস্যা যে তিমিরে ছিল তা সেই তিমিরেই রয়ে গেল। অনেকেই মনে করেছিলেন, বিসকেকে আলোচনার টেবিলে বসতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু সেটা হলো না।
দুই সরকারপ্রধান টেবিলে একে অপরের সঙ্গে মুখোমুখি বসলেন ঠিকই, তবে কোনো কথা হলো না। এমনকি শুভেচ্ছা বিনিময় পর্যন্ত হলো না। কিরগিজস্তানের রাজধানী শহর বিসকেকে চলমান সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে গত বৃহস্পতিবার রাতে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সুরনবে জিনবেকভ। সম্মেলনে আসা দেশগুলোর প্রধানদের সেই নৈশভোজের টেবিলে যখন মুখোমুখি হলেন মোদি-ইমরান তখন মনে করা হচ্ছিল, হয়তো শুভেচ্ছা আদান-প্রদান হতে পারে। কিন্তু তাও হলো না। মূলত সম্প্রতি পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে দুই দেশের; যা এখনো অব্যাহত।
মোদি পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ইতোমধ্যে দুই বার আলোচনা চেয়ে বার্তা দিয়েছেন ইমরান। পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিও বিসকেকে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য জোর সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু সেটা যে এখনই হচ্ছে না, তা বোঝা গেল ওই নৈশভোজের পর।?
এদিকে পাকিস্তান যতদিন না সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে ততদিন তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয় বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বৃহস্পতিবার বিসকেকে ভারত-চীন দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় জিন পিংকে মোদি এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। সম্মেলনে ভারত ছাড়াও এসসিওর সদস্য দেশ-রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান, কিরগিজস্তান, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রনেতারা উপস্থিত রয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসকেকের সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে জিনপিংয়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে সন্ত্রাস মোকাবেলায় ইসলামাবাদের ভূমিকা নিয়ে দিল্লির মতামত স্পষ্ট করেন মোদি।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে পাকিস্তানের উচিত সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ তৈরি করা। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পাকিস্তান সরকার।
ভারতের বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে জানান, নয়াদিল্লি আশা করছে, খুব শিগগিরই ইসলামাবাদ এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেবে।