ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিক্ষোভে অচল হংকং

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১২:০১ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০১৯

বিচারের জন্য বাসিন্দাদের চীনের মূল ভূখণ্ডে পাঠানোর সুযোগ রেখে প্রস্তাবিত একটি বহিঃসমর্পণ বিলের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন হংকংয়ের হাজার হাজার বাসিন্দা। প্রতিবাদকারীরা হংকংয়ের সরকারি দফতরগুলোর আশপাশের প্রধান প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। এতে শহরের অর্থনৈতিক কেন্দ্রস্থলটি অচল হয়ে পড়েছে। এদিকে পরিস্থিতি সামলাতে হংকংয়ের ৭০ আসনবিশিষ্ট আইন পরিষদ বিতর্কিত এ বহিঃসমর্পণ বিল নিয়ে দ্বিতীয় দফার বিতর্ক স্থগিত করেছে। তবে আগামী সপ্তাহে বিলটি পাস হতে পারে। এই আশঙ্কায় আন্দোলন আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বুধবার সকাল থেকে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সকাল থেকে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লামের দফতরের কাছে লাং ইউও সড়কে ও এর আশপাশে অবস্থান নেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, লামের দফতরের চারপাশে কয়েকশত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারা বিক্ষোভকারীদের আর অগ্রসর না হতে আহ্বান জানান। সড়কে যান চলাচলে বাধা দেওয়ার জন্য কিছু প্রতিবাদকারী ব্যারিকেড তৈরি করেছে।

বুধবারের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বেশির ভাগই তরুণ ও শিক্ষার্থী। কর্মীদের বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিতে বুধবার শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের অফিসগুলো বন্ধ রাখারও ঘোষণা দেয়। ধর্মঘটে শামিল হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রায় চার হাজার শিক্ষকও। এখানে অবস্থিত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, ব্যাংক অব ইস্ট এশিয়াসহ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।

মুখোশ ও দস্তানা পরা বিক্ষোভকারীরা জানান, ‘বিলটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা সরছি না। ক্যারি লাম আমাদের অবমূল্যায়ন করেছেন। আমরা তাকে বিলটি পাস করতে দেব না।’

তবে প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী লাম।

আগামী সপ্তাহেই বিতর্কিত এ বিলটি নিয়ে চূড়ান্ত ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। বেইজিংপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় আইন পরিষদে এটি সহজেই পাস হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২২ বছর আগে হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তরের সময় যুক্তরাজ্য শহরটির স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা অটুট রাখার প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছিল। কিন্তু বেইজিং প্রতিশ্রুত মানছে না বলে অভিযোগ করে আসছে বিশ^ সম্প্রদায়। তবে চীন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

 
Electronic Paper