খুনের পর নারীদের ছবি আঁকতেন কিলার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ৩:৪১ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০১৯
তিন খুনের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল টেক্সাসের আদালত। কিন্তু এবার ৬০টিরও বেশি হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার কারাগারে থাকা ৭৯ বছরের খুনি স্যামুয়েল লিটল।
টেক্সাসের সিরিয়াল কিলারের কোনো হদিস পাওয়া না গেলেও এ ঘটনার সঙ্গে সন্দেহভাজন হিসেবে টেক্সাসের রেঞ্জার জেমস হল্যান্ড কারাগারে গিয়ে বারবার লিটলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে টেক্সাস এবং আশপাশের ৬০ জনেরও বেশি নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে লিটল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওহাইওর বেশ কয়েকজন আইনজীবী।
এতদিন পর্যন্ত গ্যারি রিজওয়ে ওরফে গ্রিন রিভার কিলারকেই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সাংঘাতিক সিরিয়াল কিলারের অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল। লিটলের স্বীকারোক্তির পর আপাতত তাকেই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে নৃশংস সিরিয়াল কিলার বলছে পুলিশ।
লিটল স্বীকার করেছে, গত চার দশক ধরে ৬০ জনেরও বেশি নারীকে শ্বাসরোধে বা বেধড়ক মারধর করে খুন করেছে সে। নিহত প্রত্যেকের ছবি রঙতুলিতে এঁকে তাদের মুখে পেন্সিল দিয়ে অজস্র দাগ কেটেছিল লিটল। খুন হওয়া প্রত্যেকের চোখের রং, চুলের স্টাইল এবং কোথায় তাদের সে খুন করেছিল তাও পুঙ্খানুপুঙ্খ জানিয়েছে লিটল।
টেক্সাসের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ববি ব্ল্যান্ড বলেন, শিকার হিসেবে লম্বা গলার নারীদের প্রতিই আকৃষ্ট হতো লিটল।
খুন হওয়া বেশির ভাগ নারীই ছিলেন যৌনকর্মী বা মাদকাসক্ত। তাই তাদের হত্যা নিয়ে বেশি নাড়াচাড়া হয়নি। এসব হত্যাকা-ের বেশির ভাগই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু বা অতিরিক্ত মাদক সেবনের তালিকায় রেখে পুলিশও সে সময় তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যায়নি।
মূলত ওহাইওর বাসিন্দা লিটলের বিরুদ্ধে প্রথমে ১৯৭০-২০০৫ সালের মধ্যে পাঁচ নারীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ২০১২ সালে কেন্টাকির ভবঘুরে আবাস থেকে তাকে গ্রেফতারের পর ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রত্যর্পণ করা হয়। এফবিআই জানিয়েছে, লিটলের বিরুদ্ধে প্রথমে নার্কোটিক্স আইনে অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষায় তার ডিএনএর সঙ্গে মৃত তিন নারীর ডিএনএ রিপোর্ট মিলে যাওয়ার পরই তার সাজা হয়।