১২ প্রদেশ ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে দ্বিতীয় পর্বে ভোটগ্রহণ হচ্ছে ৯৫ আসনে। আগে তা ৯৭টি আসনে হওয়ার কথা ছিল। তবে তামিলনাড়ুর ভেলোর ও ত্রিপুরা পূর্বে ভোট বাতিল হওয়ায় দুটি আসন কমে গেছে। ৯৫ আসনের মধ্যে তামিল নাড়–র ৩৮টি আসন, কর্ণাটকের ১৪ আসন; মহারাষ্ট্রের ১০ আসন; উত্তর প্রদেশের ৮ আসন; আসাম, বিহার ও ওডিশার প্রত্যেকটিতে ৫ আসন; ছত্তিশগড় ও পশ্চিমবঙ্গ উভয় প্রদেশে ৩টি করে আসন; জম্মু ও কাশ্মীরে দুই আসনে এবং মনিপুর ও পুদুচেরিতে ১টি করে আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ত্রিপুরায় প্রথম দফার ভোটগ্রহণে সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি ভোটের অনুকূল নয়, সেজন্য আজকের ভোট পিছিয়ে ২৩ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে তামিলনাড়ূর ভেলোরে প্রচুর পরিমাণে নগদ অর্থ উদ্ধার হওয়ায় কমিশন সেখানেও ভোট বাতিল করেছে। আজকের পর্বে কোথাও কোথাও নিরাপত্তার কারণে দিনের আলো থাকতেই ভোটদান শেষ হয়ে যাবে। যার মধ্যে রয়েছে ছত্তিশগড় ও মণিপুরের কয়েকটি কেন্দ্র। বাকি রাজ্যগুলোতে সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

আজকের ভোটগ্রহণে পশ্চিমবঙ্গের রয়েছে তিনটি আসন- জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও রায়গঞ্জ। এর আগে প্রথম দফায় কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এর পরে বাকি পাঁচ দফাতেও এখানে ভোটগ্রহণ পর্ব চলবে।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইলে এই দফায় তামিলনাড়ূ ও কর্ণাটকে বিরোধী দল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের নিরঙ্কুশ জয়লাভ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ২০১৪ সালের নির্বাচনে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর মধ্যে একমাত্র কর্ণাটকেই বিজেপির উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। ওই নির্বাচনে ২৮ আসনের মধ্যে ১৭টিতে জয়ী হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।