রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত হচ্ছে না
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০১৯
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেট বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এখনো তদন্ত করা হচ্ছে না। বাংলাদেশে বসবাসরত ৭ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্বেচ্ছায়, টেকসইভাবে ও নিরাপদে প্রত্যাবাসনের কোনো পরিবেশ নেই। পাশাপাশি প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা ২০১২ সালে সহিংস ঘটনার পর থেকে কেন্দ্রীয় রাখাইন শিবিরে বসবাস করছেন।
গত বুধবার জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ম্যানডেট অনুযায়ী, মিয়ানমারসহ নয়টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বাশেলেট। এসময় তিনি রাখাইন পরিস্থিতির বিষয়ে এসব কথা বলেন। খবর ইউএনবির।
প্রতিবেদনে মিশেল বাশেলেট উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি যথাযথভাবে চিহ্নিত করার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কোনো প্রতিনিধি নেই।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের চলাচলের স্বাধীনতার ওপর বৈষম্য ও ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এসময় রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান মিশেল বাশেলেট।
প্রতিবেদনটিতে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকারের পাঁচটি প্রধান বিষয়ে মূল্যায়ন করা হয়। এগুলো হচ্ছে নাগরিকত্ব, জনজীবন অংশগ্রহণ, মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা, স্থানচ্যুতি ও প্রত্যাবাসনের অধিকার এবং জবাবদিহিতা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্বের সুপারিশগুলোর সামগ্রিক উদ্দেশ্য মূলত অচিহ্নিত রয়ে গেছে, পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে উত্থাপিত মানবাধিকার বিষয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই।
এছাড়া রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য প্রতিবেদনে বিশেষভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। এতে পরিস্থিতির অবসানে দ্রুত ও দৃঢ় পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে।