মেক্সিকোয় তেলের পাইপলাইন বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৭৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ৫:১৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
মেক্সিকোর হিদালগো প্রদেশে ফুটো হয়ে যাওয়া একটি তেলের পাইপলাইন থেকে তেল চুরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৭৬ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে ত্লাহুয়েলিলপান শহরের কাছে ‘তুলা’ তেল শোধনাগারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে প্রাথমিভাবে ২১ জন নিহতের কথা বলা হয়েছিল। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭৪ জন। আহতদের মধ্যে সাতজনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে হতাহতের এ হালনাগাদ তথ্য জানান হিদালগো রাজ্যের গভর্নর ওমর ফায়াদ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে থেকে জানা যায়, দেশটির প্রেসিডেন্ট এ ঘটনা নিয়ে কঠোর ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট অ্যানড্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ অবরাডোর জানান, এতে বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট অ্যানড্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ অবরাডোর বলেন, তেল চুরির বিষয়টি বন্ধে পরিকল্পনা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, আমরা থামব না, আমরা এটির নির্মূল করব।
এদিকে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয় প্রাদেশিক গভর্নর ওমর ফায়াদ বলেন, পাইপের ফুটো দিয়ে গড়িয়ে পড়া তেল চুরি করতে স্থানীয়রা হুড়োহুড়ি করছিল। তার মধ্যেই হঠাৎ করে আগুন লেগে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও ওই এলাকা এখন প্রচণ্ড উত্তপ্ত হয়ে আছে। যে কারণে উদ্ধারকর্মীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে রাতের আকাশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে ও কালো ধোঁয়ায় চারদিক ছেয়ে যেতে দেখা গেছে। তার মধ্যে লোকজনের চিৎকার ও কান্নার আওয়াজও পাওয়া গেছে।
মেক্সিকোর রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেম্পেক্স এক বিবৃতিতে অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে অবৈধভাবে তেল চুরিকে দায়ী করেছে। পাইপলাইনটি সুরক্ষায় কয়েক হাজার মেরিন সেনাকে মোতায়েন করা হয়েছে। সাময়িকভাবে তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, অতীতেও মেক্সিকোর এই কোম্পানির তেলের পাইপলাইনে বিস্ফোরণে অনেক মানুষের প্রাণহানির রেকর্ড রয়েছে। ২০১৩ সালে মেক্সিকো সিটিতে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে এক বিস্ফোরণে ৩৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। ২০১২ সালে পেমেক্সের এক গ্যাস স্থাপনায় আগুনে ২৬ জন মারা যায়।