উত্তরপ্রদেশে একাই লড়বে কংগ্রেস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ৫:২৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ-মায়াবতীর জোট ঘোষণার এক দিনের মাথায় রাজ্যে দলের রণকৌশল স্পষ্ট করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস জানিয়েছে, রাজ্যের ৮০টি আসনের সবকটিতে এককভাবে লড়বে দলটি।
সব চেয়ে বড় এ রাজ্যে এসপি-বিএসপি ও কংগ্রেস মিলে জোট হয় কি না, তা নিয়ে রাজনীতির মাঠে আগ্রহ ছিল প্রবল। কিন্তু গত রোববার কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই মায়াবতী-অখিলেশ ওই রাজ্যে ‘বুয়া-বাবুয়া’ জোট ঘোষণা করেন। এর এক দিনের মাথায় রাহুল গান্ধী জানালেন, মায়াবতী-অখিলেশের জোটের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। তারা নিজেদের মতো করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে স্বাগত জানাই। ওই রাজ্যে আমরা আমাদের মতো করে একাই লড়াই করব।
সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে গুলাম নবি আজাদ জানিয়ে দেন, রাজ্যের সবকটি আসনেই একা লড়বে কংগ্রেস। এরই মধ্যে প্রচারের কৌশল নির্ধারণ করেছে কংগ্রেস। অন্তত ওই রাজ্যে ১৩টি সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সূত্রে বলা হয়েছে, রাজ্যের ৮০টি আসনকে মূলত ১৩টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ভোটের মাঠে নামবেন কংগ্রেস সভাপতি।
প্রশ্ন উঠেছে, বিরোধী দলগুলোর জোট না-হওয়ায় বিজেপি কি লাভবান হচ্ছে নাকি দুর্বল হতে থাকা বিজেপি এ থেকে বিশেষ সুবিধা আদায় করে নিতে পারবে?
এর উত্তরে রাজ্যের অনেক নেতাই মনে করছেন, ওই রাজ্যে বিজেপিবিরোধী ভোট এসপি-বিএসপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে ভাগ হয়ে গেলে বিজেপিরই লাভ হবে বেশি। কিন্তু কংগ্রেস সূত্রের মতে, রাহুলের সঙ্গে বোঝাপড়া করেই এগোচ্ছেন মায়া ও অখিলেশ। কংগ্রেস একা ভোটে লড়লেও প্রধান লক্ষ্য হবে বিজেপিকে হারানো।
তাই যেখানে এসপি-বিএসপির প্রার্থী শক্তিশালী, সেখানে দুর্বল প্রার্থী দেবে কংগ্রেস। আবার যেখানে বিজেপির ভালো অবস্থান রয়েছে, সেখানে বিজেপিকে হারাতে সর্বশক্তি দিয়ে লড়বে কংগ্রেস। প্রয়োজনমতো স্থানীয় স্তরে বোঝাপড়া করা হবে এসপি-বিএসপির সঙ্গে।
কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতা গুলাম আজাদ দেশটির গণমাধ্যমকে বলেন, সবাই জানেন লোকসভার মূল লড়াই কংগ্রেস বনাম বিজেপির। সম মানসিকতার যে সব দল বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত, আমরা অবশ্যই তাদের সমান মর্যাদা দেব এবং সাহায্য নেব।
সবদিক থেকেই বিজেপির বার্তা স্পষ্ট, একলা চলোর পথে হেঁটেও তৃণমূল স্তরে বোঝাপড়ার প্রশ্নে দরজা খোলা রাখতে চাইছে কংগ্রেস।
লোকসভা নির্বাচনে মোদিকে হারানোই যেখানে মূল লক্ষ্য, সেখানে নীতিগতভাবে এসপি-বিএসপি জোটের বিরোধিতা করতে রাজি নন রাহুল গান্ধী। আবার একসময়ে কংগ্রেসের গড় উত্তরপ্রদেশে মাত্র চার-পাঁচটি আসনে লড়াটাও দলের পক্ষে সম্ভব নয়। যাতে কর্মীদের মনোবল ধাক্কা না খায়। তাই এসপি-বিএসপি জোটের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েও সবকটি আসনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্তই নিতে হয়েছে কংগ্রেসকে।