গুজরাটে সেতু ভেঙে নিহত দেড়শ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ২:১৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০১, ২০২২
ভারতের গুজরাটে রোববার একটু ঝুলন্ত সেতু ভেঙে প্রায় দেড়শ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে, সেতুর আশপাশে বাবা-মায়ের খোঁজ করছে বেশ কয়েকটি শিশু। কোথায় যাবে, কাকে বলবে কিছু বুঝে উঠতে পারছেন তারা।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার বাংলা সংস্করণ এই সময়ের খবরে বলা হয়েছে, রোববার রাত থেকে মা-বাবাকে খুঁজে চলছে বছর দশেকের একটি ছেলে।
সংবাদ মাধ্যমকে ওই শিশু জানিয়েছে, 'খুব ভিড় ছিল, তার মধ্যেই হঠাৎ সেতু ভেঙে পড়ল। কোনোক্রমে একটা দড়ি ধরে আমি উঠে পড়লাম। তবে, আমার বাবা-মা এখনও নিখোঁজ।'
মোরবি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া মেহুল রাওয়াল। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় সেতুতে প্রায় ৩০০ লোক ছিল। সেতুর মাঝখানে প্রচুর লোক জড়ো হয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন দুর্ঘটনার সময় ব্রিজে প্রচুর শিশুও ছিল। দীপাবলির ছুটিতে মা-বাবার সঙ্গে সেতু দেখতে এসেছিল তারা।
দুর্ঘটনার আগে মোরবি সেতুর কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে কিছু যুবক ইচ্ছাকৃতভাবে ঝুলন্ত সেতুটিকে দোলাচ্ছেন। কেউ লাথি মারছেন, কেউ ব্রিজের কেবল ধরে টানছেন। তবে এসব ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
আহমেদাবাদ থেকে সপরিবারে মোরবি সেতু দেখতে গিয়েছিলেন বিজয় গোস্বামী। তিনি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কিছু সময় আগেই তারা সেতু থেকে নেমে আসেন। ঝুলন্ত ব্রিজে ভিড়ের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।
গুজরাটের মোরবিতে ভেঙে পড়া সেতুটি তৈরি হয়েছিল ১৮৮৯ সালে। প্রায় ১৪৩ বছর আগে ইউরোপ থেকে অত্যাধুনিক নকশায় সেতুটি তৈরি করেছিলেন মেবারির রাজা। ১.২৫ মিটার চওড়া এই ঝুলন্ত সেতু দরবার গড় প্রাসাদ এবং লক্ষধিরজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে সংযুক্ত করে। প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ করে সম্প্রতি সেতুটি মেরামত করা হয়।