পিএফআই’র ওপর নিষেধাজ্ঞা, সতর্ক দিল্লি পুলিশ
পার্সটুডে
🕐 ৮:০৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই) এবং ইমাম কাউন্সিলসহ আরও ৮টি সংগঠনকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার পর দিল্লি পুলিশ উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।
পুলিশ দিল্লির সংবেদনশীল অঞ্চলটিকে তিনটি অংশ- লাল, হলুদ এবং কমলা জোনে বিভক্ত করে টহল দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য, বেশ কয়েকটি জেলায় পুলিশের ডিসিপি পরিস্থিতির খোঁজ নিতে মাঠে নেমেছেন।
যেকোনো ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যায় সে বিষয়ে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উত্তর পূর্ব দিল্লিতে পুলিশের ২৫০ জওয়ান মক ড্রিল করেছে। এ সময়ে পুলিশ কর্মীরা মক ড্রিলে টিয়ারগ্যাসের শেলও ব্যবহার করেছে। এর পাশাপাশি স্পর্শকাতর এলাকায় পুলিশি টহলদারি চালানো হচ্ছে। পুলিশের ওই মহড়ায় ভিড় নিয়ন্ত্রণে টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ার অনুশীলন করা হয়।
এছাড়া ওয়াটার ক্যানন, মাল্টি ব্যারেল লঞ্চারসহ বিভিন্ন অনুশীলন করা হয়। মহড়া চলাকালীন দাঙ্গার মতো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশের কী করা উচিত, তা ইমার্জেন্সি রেসপন্স প্ল্যানে অনুশীলন করা হয়েছে। জ্যোতি নগর, জাফরাবাদ এবং সিলামপুরের স্পর্শকাতর এলাকায় ওই মহড়া চালানো হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার গতকাল (বুধবার) পিএফআইকে নিষিদ্ধ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, পিএফআই এবং এর সহযোগী সংস্থাগুলোর সাথে আইএসআইএস’র মতো আন্তর্জাতিক...সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সাথে সম্পর্ক রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সংগঠনটি দেশের একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে উগ্রপন্থার প্রচার করছে। এছাড়াও পিএফআই এবং এর ক্যাডারদের বারবার দেশে সহিংস ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল বলেও সরকারের দাবি।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর এবং ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা ‘এনআইএ’, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং রাজ্য পুলিশ যৌথভাবে ‘পিএফআই’য়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান চালায়। প্রথম দফার অভিযানে, পিএফআইয়ের সাথে যুক্ত ১০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
দ্বিতীয় দফার অভিযানে পিএফআইয়ের সাথে যুক্ত ২৪৭ জনকে গ্রেফতার এবং আটক করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলোর দাবি- তারা পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ পেয়েছে। এরপর তদন্তকারী সংস্থাগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানায়। পরবর্তীতে ওই সুপারিশের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পিএফআইকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।