ডায়রিয়ার রোগী এখনও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২২
রাজধানীতে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা অধিকহারে বেড়েছে। দেশের চিকিৎসকদের প্রচেষ্টা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সময়ের সাথে এ রোগের প্রভাব কমলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছেন আইসিডিডিআর,বির অ্যাসিস্ট্যান্ট সাইনটিস্ট ডা. শোয়েব বিন ইসলাম।
তিনি বলেন, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছে। গতকাল (শুক্রবার) হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৮৩৯ জন। যদিও সংখ্যাটি একেবারেই কম নয়, তারপরও শুরুতে রোগী যে হারে বেড়ে গিয়েছিল সেই তুলনায় এখন অনেকটাই কমে এসেছে। তবে রোগী কমলেও সংখ্যাটি কিন্তু এখনও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। রোগীর সংখ্যা যদি পাঁচশর নিচে আসে, তাহলে আমরা বলি যে কমছে।
যার প্রভাবে ডায়রিয়া রোগীদের অন্যতম ভরসাস্থল উদারময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) হাসপাতালে রোগী ভর্তির চাপ তুলনামূলক কমে এসেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত তিন শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে শুক্রবার হাসপাতালটিতে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছিলেন ৮৩৯ জনের মতো। গত বৃহস্পতিবার আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালে ৯১৬ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছিলেন।
জানা গেছে, মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকেই রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। গত ১৬ মার্চ প্রথম এক হাজার ৫৭ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তির খবর জানিয়েছিল আইসিডিডিআর,বি। এর পরদিনই আরও এক হাজার ১৪১ জন রোগী ভর্তি হন। এরপর রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে। গত ৪ এপ্রিল রেকর্ডসংখ্যক ১ হাজার ৩৮৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন।
শুরু থেকেই রোগীর সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও গত ৮ এপ্রিলের পর থেকে হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তির সংখ্যা কিছুটা কমতে থাকে। এরপর ১৪ এপ্রিল দীর্ঘ এক মাস পর হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা এক হাজারের নিচে নেমে আসে।
ডা. শোয়েব বলেন, এখন সব বয়সী রোগীরাই আসছে। এখনও তীব্র পানিশূন্যতা নিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশের মতো রোগী আসছে। তবে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই তারা আবার চিকিৎসার মাধ্যমে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠছেন। এরপর তাদের অনেকেই ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় চলে যান এবং সেখান থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চিকিৎসা নেন।
এই চিকিৎসক বলেন, আমাদের এখানে যারা আসছে, তাদের সবাই বলছে যে তাদের এলাকায় পানির সমস্যা আছে। দূষিত পানির কারণে শুধু কলেরা নয়, আরও বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। তার মধ্যে টাইফয়েড রোগটাও বেশ দেখা যাচ্ছে। আমরা ভয় করছি যে মানুষের মধ্যে হেপাটাইটিস-বি বা সি দেখা দেয় কি না। এজন্য শুধু আক্রান্ত এলাকা নয়, এই মুহূর্তে সবারই উচিত পানি ফুটিয়ে খাওয়া।
তিনি বলেন, প্রথমত যেসব এলাকায় লাইনের কারণে পানির সমস্যা হচ্ছে, সেটা দ্রুত সমাধান করতে হবে। দ্বিতীয়ত হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে আমাদের আরও যত্নবান হতে হবে।