লোয়ার ব্যাক পেইন
স্বাস্থ্য কুশল ডেস্ক
🕐 ৪:২৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০১৮
অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে শীতের সময় লোয়ার ব্যাক পেইনের প্রকোপ বেশি হয়ে থাকে। আমাদের দেশে পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি লোয়ার ব্যাক পেইনের সমস্যা হয়ে থাকে। নারীরা বেশি অসচেতনভাবে কাজ করেন। আর বাড়ির বেশিরভাগ কাজ ঝুঁকে করে থাকেন। তাই তারা যে কোনো সময় লোয়ার ব্যাক পেইনের সমস্যায় পরে থাকেন।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে লোয়ার ব্যাক পেইন একেবারে নির্মূল করবে এমন কোনো চিকিৎসা নেই। তবে কিছু প্রতিকার আছে যা মেনে চললে আপনি লোয়ার ব্যাক পেইনের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ব্যাক পেইনের রোগীদের দুই-তৃতীয়াংশেরই ঘুমের সমস্যা হতে দেখা যায়। যারা ইনসমনিয়াতে ভোগেন তাদের পিঠের ব্যথাও মাত্রাতিরিক্ত হতে দেখা যায়। শুধু ব্যথার চিকিৎসা করে এ সমস্যা হতে বের হওয়া যাবে না। যদি ঘুমের সমস্যা থাকে তাহলে আগে তার চিকিৎসা করতে হবে।
লোয়ার ব্যাক পেইনের সবচেয়ে ছোট কারণ হচ্ছে ভুলভাবে বসার ধরন। জবুথবু হয়ে বসলে জয়েন্টে, মাংসপেশিতে এবং ডিস্কে চাপ পড়ে ফলে ব্যথার সৃষ্টি হয়।
এন্ডোরফিন নামক এক প্রকার হরমোন যা ব্যথা কমাতে সক্ষম। এন্ডোরফিন ব্যথার অনুভূতি মস্তিষ্কে পাঠায়। এ ছাড়াও এন্ডোরফিন দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ ও হতাশা উপশম করে যা ক্রনিক ব্যাক পেইন এর সঙ্গে সম্পর্কিত। এ এন্ডরফিনের নিঃসরণ বাড়াতে অ্যারোবিক এক্সারসাইজ ও মেডিটেশন করুন।
গরম থেরাপি নেওয়ার উপকারিতা হচ্ছে, এটা রক্তের প্রবাহকে উদ্দীপিত করে যা দেহের পশ্চাৎদেশে ব্যথা উপশমকারী উপাদানগুলোকে নিয়ে আসে এবং ব্যথার ম্যাসেজ মস্তিষ্কে পৌঁছতে বাধা দেয়।
কিছু টিপস : পিঠে ভারী ব্যাকপ্যাক নেওয়া বন্ধ করুন। নরম বিছানায় ঘুমানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন। খুব উচু এবং শক্ত বালিশে ঘুমানো যাবে না। ঝুকে বসা বা বসে কাজ করা যাবে না। হাইহিল পরা বন্ধ করে আরাম দায়ক স্যান্ডেল পড়ুন।
ভারী জিনিস বহন করা বা উঠানো বন্ধ করুন। বিভিন্ন দামি যন্ত্র ব্যবহার করে রাতারাতি ভালো হয়ে যাওয়ার চিন্তা বাদ দিন। অতিরিক্ত ওজন কমানোর চেষ্টা করুন। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে বাদ দিন। নিয়মিত ইয়োগা করুন।
যদি লোয়ার ব্যাক পেইনের ব্যথা ১ থেকে ২ সপ্তাহ থাকে এবং আপনার পায়ে দুর্বলতা বা অসাড়তা অনুভব করেন অথবা দাঁড়িয়ে থাকতে বা হাঁটতে অসুবিধা হয় তাহলে চিকিৎসক দেখান। এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে আসা করে বসে থাকবেন না। শুরুতেই চিকিৎসা না করালে পরে হয়তো আরও বড় সমস্যা হয়ে থাকতে পারে।