ফ্রিজের খাবারে সচেতনতা প্রয়োজন
সাঈদ চৌধুরী
🕐 ৯:০১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৮
অনেক সময়ই শোনা যায় বাচ্চারা রাতে ভালো ও সুস্থভাবে ঘুমালো সকালে পেটের সমস্যায় অথবা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলো। বড়দের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়ে থাকে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হলে পানিদূষণ বা বলা হয়ে থাকে ফুড পয়জনিংয়ের কথা। হ্যাঁ ফুড পয়জনিং তো অবশ্যই। কিন্তু কীভাবে হলো এ ফুড পয়জনিং। আমরা কি কারণ খুঁজতে চেষ্টা করেছি কখনো?
এর পেছনে যতগুলো কারণ আছে তার মধ্যে অন্যতম কারণ না বুঝে ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণ। যে খাবারই হোক না কেন খাওয়ার পর অবশিষ্ট অংশ আমরা ফ্রিজে রেখে দেই। শুধু রাখিই না তা আবার না ঢেকেই রাখি। কেউ কেউ ডিপ ফ্রিজ আর নরমালের তাপমাত্রার ব্যাপারটিও সঠিকভাবে জানে না। অনেকে আবার রান্না করা খাবার ফ্রিজে রেখে না গরম করেই সরাসরি ভাতের সঙ্গে বা এমনিতেই খেয়ে নেয় অথবা শিশুদেরও খাইয়ে দেয়। মিষ্টি জাতীয় খাবারগুলো তো অনেক দিন সংরক্ষণ করে এমন অনেক মানুষকে আমি নিজেই দেখেছি ও সাবধানও করেছি।
সাধারণত তাপমাত্রার ভিন্নতার কারণে খাবারে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে এবং এ বিষক্রিয়া বড় ধরনের ক্ষতির কারণও হতে পারে। রান্না করা কোনো খাবারই ৪৮ ঘণ্টার অধিক রাখা ঠিক নয়। এবং খাওয়ার আগে অবশ্যই গরম করে তা খেতে হবে। মিষ্টি জাতীয় খাবার বিশেষ করে রসগোল্লা কখনই এক দিনের বেশি ফ্রিজে সংরক্ষণ করা উচিত নয়। ফ্রিজে সংরক্ষণ করা খাবারে খারাপ ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেওয়া স্বাভাবিক। ফল, ডিম, মাছ, মাংস সংরক্ষণ সবকিছুর জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া আছে।
আপনার একটু অসচেতনতায় রোগাক্রান্ত হয়ে বিপদ ঘটে যেতে পারে যে কোনো সময়। তাই আরও স্বাস্থ্য সচেতন হোন এবং সুস্থ থাকুন।
শ্রীপুর, গাজীপুর