ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চীনাবাদামের পুষ্টিকথা

স্বাস্থ্য কুশল ডেস্ক
🕐 ৮:০১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৮

আমাদের দেশে অনেক আগে থেকেই চীনাবাদাম সহজলভ্য। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, পার্কে ঘোরা, বাস ও লঞ্চ থেকে শুরু করে রান্না ঘর-সব জায়গায় পাওয়া যায় চীনাবাদাম। আমরা গল্প করতে করতে বাদাম খেয়ে যাই। কিন্তু কখনো কি চিন্তা করে দেখেছি যে, বাদাম আমাদের কী কী উপকার করে? আজ জেনে নিন হাতের কাছে পাওয়া বাদামের কিছু গুণের কথা।

রক্ত জমাট বাধা হতে রক্ষা : চীনাবাদামে বিদ্যমান এল-আরজিনিন অ্যামিনো অ্যাসিডটি ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ধমনীকে নমনীয় করতে সহায়তা করে। বাদামের এল-আরজিনিন রক্ত জমাট বাধার হাত থেকেও রক্ষা করে।
কোলেস্টোরল কমায় : কোলেস্টোরল সমস্যা খুবই কমন একটি সমস্যা। কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যাসহ নানা শারীরিক সমস্যার মূলে রয়েছে এই বাড়তি কোলেস্টোরল। চীনাবাদাম দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টোরল কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। বাদামের ভালো ফ্যাট কলেস্টোরল এবং ট্রাইগ্লিসারয়েড কমিয়ে ফেলে কোনো ধরণের ওজন বাড়ানো ছাড়াই।
রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে : চীনাবাদাম রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সকালের নাস্তায় চীনাবাদাম বা চীনাবাদামের বাটার খেলে প্রায় পুরো দিনই সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন অনায়াসেই।
ওজন কমায় : ওজন কমানোর জন্য কিছুটা ভালো ফ্যাটের প্রয়োজন রয়েছে। চীনাবাদামে রয়েছে এমনই কিছু ভালো ফ্যাট। এর ক্যালোরি এবং ফ্যাট ওজন বাড়ানোর চাইতে ওজন কমিয়ে রাখতে বিশেষ কাজ করে থাকে। এছাড়াও প্রতিদিন অল্প হলেও চীনাবাদাম খাওয়া উচিত ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলেও।
স্মৃতিশক্তি উন্নত করে : বয়স হতে না হতেই স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া শুরু করে অনেকেরই। এর কারণ হচ্ছে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়। মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজন সঠিক খাদ্যের। চীনাবাদামকে বলা হয় মস্তিষ্কের খাবার। চীনাবাদামের ভিটামিন বি৩ মস্তিষ্কের সুস্থতা নিশ্চিত করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : খুব হুটহাট নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ার সমস্যাকে মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে ধরা হয়। চীনাবাদাম এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেই উন্নত করতে কাজ করে থাকে। চীনাবাদামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে। চীনা বাদাম ঠাণ্ডা, কাশি, মাথা ব্যথা, দুর্বলতা, খাওয়ার অরুচি এবং নিদ্রাহীনতা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
সতর্কতা : কাচা বাদাম ও ভাজা বাদামের তুলনার কথা বলা হলে, কাচা বাদামই ভালো। কারণ ভাজা বাদামে প্রচুর ফ্যাট থাকে। এতে এসিডিটিও বাড়ে। যাদের এসিডিটির সমস্যা আছে তাদের ভাজা বাদাম এড়িয়ে চলাই ভালো। এছাড়াও তেলে ভাজা বাদাম, মধু বা চিনি মেশানো বাদাম খেলে উপকারের পরিবর্তে অপকারই বেশি পাওয়া যাবে। এতে ওজন বাড়বে, রক্তচাপ বাড়বে। তাই ভাজা বাদাম খেতে ভালো লাগলেও দৈনিক এক মুঠোর বেশি খাওয়া উচিত নয়। পোলাও, হালুয়া, ফিরনি, জর্দা প্রভৃতির সাথে বাদাম খেলে লাভের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার আশংকাই বেশি।

 
Electronic Paper