ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

স্ট্রেস কমাতে যা খাবেন

স্বাস্থ্য কুশল ডেস্ক
🕐 ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮

প্রোটিন জাতীয় : ডিমের সাদা অংশ, মাছ, চর্বি ছাড়া মাংস যেমন মুরগির মাংস, ডাল, সাগুদানা, পনির, শুকনো খেজুর-এ খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড আছে, যা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

ভিটামিন বি : ছোলা, পালংশাক, কলা, ওট, কাজু, তিল, মিষ্টি আলু ও আলমন্ড মিল্ক এ খাবারগুলোতে আছে ভিটামিন বি। শরীর থেকে সেরোটনিন নিঃসরণ করে ভিটামিন বি। এ খাবারগুলো বিপাকে সাহায্য করে।
এ জন্য ফুলকপি, বাদাম, স্ট্রবেরি, আনারস, সবুজ টমেটো ও লেটুস নিয়মিত খেতে হবে। কারণ এগুলোতে রয়েছে ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি। যা ক্লান্তি কাটাতে সাহায্য করে। স্ট্রেস ঝেড়ে ফেলতেও এই খাবারগুলো উপকারী।
জিঙ্ক : মসুর ডাল, চীনাবাদাম, মাশরুম, সয়াবিন, লাল আটার রুটি, সামুদ্রিক মাছ ও গরু-খাসির কলিজায় জিঙ্ক থাকে। প্রতিদিন আমাদের শরীরের জন্য ১৫ মিলিগ্রাম জিঙ্ক প্রয়োজন হয়। খাদ্য তালিকায় জিঙ্কের অভাব হলে স্ট্রেস তৈরি হয়। শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি পূরণের জন্য নিয়মিত এ খাবারগুলো খাওয়া উচিত।
ম্যাগনেসিয়াম : কলা, সবুজ শাক, লাউ ও বেদানায় ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডের কার্যকলাপ সক্রিয় রাখতে ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
অন্যান্য খাবার : লেবু, পেয়ারা, কমলালেবু, সবুজ শাকসবজি, ডার্ক চকলেট, গাজর, তিলের বীজ ও নারকেল নিয়মিত খাবেন। অতিরিক্ত স্ট্রেস থেকে ফ্রি-র‌্যাডিক্যালসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে এই খাবারগুলো স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে।
টিপস : সকালে অবশ্যই নাস্তা করবেন। কাজের তাড়া থাকলেও নাস্তা বাদ দেবেন না। নাস্তায় ভারি খাবার খাবেন। কারণ সারা দিনের কাজে শক্তি জোগায় সকালের নাস্তা। ক্লান্তিও দূর করে। চা, কফি যতটা সম্ভব কম খাবেন। এতে স্ট্রেস কম থাকবে। কফির বদলে গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে ভাল। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি সারা দিন ক্লান্তিহীন থাকতে সাহায্য করে। রাতের খাবারের পর চা কিংবা কফি খাবেন না। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
অনেকের দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমানোর অভ্যাস আছে। দুপুরে ঘুমালে রাতের ঘুমে সমস্যা হতে পারে। তাই দুপুর বেলার ক্লান্তি কাটানোর জন্য ৩০ মিনিট চোখ বন্ধ করে থাকতে পারেন। যারা অফিস করেন তারা দুপুরে খাবারের জন্য রেস্তোরাঁয় না গিয়ে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যেতে পারেন। বাড়ির খাবার স্বাস্থ্যসম্মত বলে মানসিক সুস্থতাও বজায় থাকবে।
বাইরে গেলে পানির বোতল, খেজুর, ফল ও হালকা স্ন্যাক্স সঙ্গে রাখুন।

 
Electronic Paper