ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আন্তর্জাতিক গবেষণার তথ্য

দীর্ঘ সময় কাজে স্ট্রোক ঝুঁকি

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ, জুন ২২, ২০১৯

দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। ফ্রান্সের এক গবেষণায় গবেষকরা বলেছেন, প্রতি বছর কমপক্ষে ৫০ দিন যদি ১০ ঘণ্টার বেশি কাজ করা হয় তাহলে স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হয়। এক দশকেরও বেশি সময় যাবৎ যারা দীর্ঘ সময় কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিবিসি বাংলা অনলাইনের বরাতে এ তথ্য উঠে এসেছে।

তবে, যুক্তরাজ্যের স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন বলছে, দীর্ঘ সময় কাজ করলেও শারীরিক ব্যায়াম এবং ভালো খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব হতে পারে। ফ্রান্সের গবেষকরা মোট ১ লাখ ৪৩ হাজার মানুষের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তাদের বয়স, ধূমপানের ইতিহাস এবং কর্মঘণ্টা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের কিছু কম দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছেন। এছাড়া ১০ শতাংশ মানুষ ১০ বছর যাবৎ দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন। সব মিলিয়ে ১২২৪ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত লেখায় গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, যেসব মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে তাদের স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ২৯ শতাংশ বেশি। যারা ১০ বছরের বেশি সময় যাবৎ দীর্ঘ সময় কাজ করছেন তাদের স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪৫ শতাংশ বেশি। তবে, যারা খণ্ডকালীন কাজ করেন কিংবা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার আগেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের এই গবেষণা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

গবেষণা দলের প্রধান ড. অ্যালেক্সিস বলেন, যাদের বয়স ৫০ বছরের কম তাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ১০ বছর যাবৎ দীর্ঘ সময় কাজ করায় তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। এটা অপ্রত্যাশিত। এই ফল বের করার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে। এই গবেষণায় স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যার ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। স্ট্রোকের কারণের দিকে নজর দেওয়া হয়নি।

অন্য আরেকটি গবেষণায় বলা হয়, যেসব ব্যক্তি নিজের ব্যবসা পরিচালনা করেন, সিইও এবং ম্যানেজাররা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলেও তাদের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের ঝুঁকি কম। কিন্তু যারা অনিয়মিত শিফটে কাজ করেন, রাত্রিকালীন কাজ করেন কিংবা কাজের চাপ বেশি থাকে তাদের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি।

স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা দলের প্রধান ড. রিচার্ড ফ্রান্সিস বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, ব্যায়াম, ধূমপান ত্যাগ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম স্বাস্থ্যের ওপর বড় প্রভাব রাখতে পারে।

এ বিষয়গুলো মেনে চললে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে আসতে পারে।

 
Electronic Paper