ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এই সময়ের রোগ থেকে ভালো থাকুন

ডা. মো. ইকবাল হোসেন
🕐 ১:০৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০১৯

এই সময় চর্মরোগ বা ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা হতে পারে। যারা পরিমিত পানি অথবা পানীয় পান করেন না তাদের মাঝে এই সমস্যা প্রকট। কয়েকটি সাধারণ চর্মরোগ হচ্ছে পাঁচড়া, খুঁজলি ও দাদ।

পাঁচড়া
শিশুদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়। পাঁচড়ায় আঙ্গুলের মাঝখানে, কব্জিতে, কোমরের চারদিকে, যৌনাঙ্গের আশপাশে, শরীরের অন্যান্য অংশেও ছোট ছোট ফুসকুড়ি দেখা যায়।

লক্ষণ
আক্রান্ত স্থানে সবসময় চুলকানির ভাব অনুভূতি হয়, না চুলকিয়ে থাকা যায় না, চুলকাতে চুলকাতে চামড়া উঠে যায়, ফুসকুড়িগুলোতে পুঁজ/পানি জমে, পুনরায় চুলকালে পুঁজ ছড়িয়ে পড়ে ও চুলকানি অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে যায়, ব্যথায় শরীরে জ্বর আসে।

চিকিৎসা
পরিষ্কার-পরিছন্ন কাপড়-চোপড় ব্যবহার করলে খোসপাঁচড়া হবে না।
প্রতিদিন গোসল করতে হবে।
কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।
গরম পানিতে নিমপাতা দিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলেও উপকার হয়।

খুঁজলি-লক্ষণ
দুই আঙ্গুলের মাঝখানে ছোট দানার মতো হয়। যৌনাঙ্গে ছোট দানার মতো দেখা যায়। শরীরের অন্যান্য অংশে বিশেষ করে চামড়ার ভাঁজে একই ভাবে দেখা যায়। দানা চাপ দিলে পানি বের হয় ভীষণ চুলকায়।

চিকিৎসা
পরিষ্কার-পরিছন্ন কাপড়-চোপড় ব্যবহার করতে হবে।
ব্যক্তিগত পরিছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, চিকিৎসা করাতে হবে।

প্রতিরোধ
পাঁচড়া ও খুঁজলির ক্ষেত্রে রোগীকে আলাদা রাখা।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
দূষিত পুকুরের পানিতে গোসল না করা।
দৈনন্দিন পরিধেয় কাপড় পরিষ্কার রাখা।
নখ কেটে ছোট রাখা।
গামছা, বিছানা ও বালিশ পরিষ্কার রাখা।

দাদ : লক্ষণ
আক্রান্ত স্থান চাকার মতো গোলাকার হয় এবং চুলকায়।
মাথায় দাদ দেখতে গোলাকার হয়, আক্রান্ত স্থানে চুল কমে যায় এবং প্রায়ই থাকে না।
হাত বা পায়ের নখে ফাংগাস আক্রান্ত করলে নখের উপরিভাগ পুরু হয় এবং মসৃণতা নষ্ট হয়।

প্রতিকার
সাবান ও পানি দিয়ে প্রতিদিন ধোয়াই দাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায়।
আক্রান্ত স্থান শুকনো রাখা জরুরি।
অনেক সময় ব্যবহৃত সাবান থেকেও দাদ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাবান ব্যবহার কিছুদিন বন্ধ রাখতে হবে।

প্রতিরোধ ব্যবস্থা
ফাংগাস আক্রান্ত ছেলেমেয়েদের অন্য কোনো সুস্থ ছেলেমেয়েদের সঙ্গে একত্রে খেলতে বা ঘুমাতে দেওয়া উচিত নয়। রোগীর ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় ও চিরুণী ভালোভাবে পরিষ্কার না করে অন্য কারও ব্যবহার করা উচিত নয়। রোগ প্রকাশ পাওয়ামাত্র চিকিৎসা করাতে হবে।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, এমএইচ শমরিতা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।

 
Electronic Paper