ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকখানি কমে...

অধ্যাপক ডা. আবু উবাইদ মুহম্মদ মুহসিন
🕐 ১:৪৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৩, ২০১৯

ক্যান্সার একটি জটিল ব্যাধি। সময়মতো যার চিকিৎসা না হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা থেকে যায়। এ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে যতখানি জানা গেছে, তাতে করে ক্যান্সার সচরাচর রাসায়নিক পদার্থ, রোগ-জীবাণু এবং বিকিরণের কারণে সংঘটিত হয়ে থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই তিনটি উপাদান বিশেষ করে রাসায়নিক পদার্থ ও ভাইরাসের মাধ্যমে সৃষ্ট ক্যান্সার রোগের বিষয়টি মানুষের জীবনযাত্রা প্রণালীর সঙ্গে সম্পৃক্ত।

উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, তামাক বা বিড়ি-সিগারেটে ছয় হাজারেরও বেশি রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে যার মধ্যে অন্তত ৫০টি ক্যান্সার সৃষ্টিতে সরাসরি জড়িত। অথচ এই বিড়ি-সিগারেট বা তামাক গ্রহণ জীবনযাত্রা প্রণালীরই অংশ।

আবার অন্যদিকে, স্বাস্থ্যসম্মত নয় এমন খাদ্য এবং খাদ্যাভ্যাসে বেশ কিছু ক্যান্সার হয়ে থাকে। খাদ্যাভ্যাসজনিত ক্যান্সার মূলত, রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই হয়ে থাকে। অথচ এই খাদ্যাভ্যাস আমাদের জীবনযাত্রা প্রণালীরই অংশ। ঠিক এই কারণেই বলা হয়ে থাকে, শতকরা ৯০ ভাগ ক্যান্সার কোনো না কোনোভাবে জীবনযাত্রা প্রণালী এবং আমাদের চারপাশের পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে সম্পৃক্ত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রকাশনায় পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, অন্ততপক্ষে শতকরা ৩০ ভাগ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায় যদি আমরা আমাদের জীবনযাত্রা প্রণালীতে পরিবর্তন আনতে পারি এবং আমাদের কু-অভ্যাসগুলো থেকে দূরে থাকতে পারি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওই একই প্রকাশনায় উল্লেখ করেছে, সারা বিশ্বে প্রতিবছর যে ১ কোটিরও বেশি লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়, তার তিন-চতুর্থাংশের জন্যই তামাক, অ-স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য এবং কিছু সংক্রমণই দায়ী।

গবেষণায় বলে, নিয়মিত কিছু ব্যাপার মেনে চললে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকখানি কমে, যেমন ব্যায়াম। প্রত্যেকদিন নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করা যেমন দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, হাঁটা ইত্যাদি। এমন কোনো নির্দিষ্ট খাবার নেই যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। তবে ধারণা করা হয়, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।

লেখক-অধ্যাপক ডা. আবু উবাইদ মুহম্মদ মুহসিন অধ্যক্ষ, বসুন্ধরা আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ এবং প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।

 
Electronic Paper