হাড়ের রোগগুলোর মধ্যে বর্তমানে অস্টিওপোরোসিস সবচেয়ে বেশি নজরে পড়ে। এ রোগটির কারণে হাড়ের গঠন দুর্বল হয়ে পড়ে। ভঙ্গর হয়ে পড়ে। ফলে হাড় ভাঙার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।

অস্টিওপোরোসিসের কারণ
দেহে খনিজ লবণ, বিশেষ করে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে এ রোগটি হয়। মহিলাদের ঋতুস্রাব হওয়ার পর অস্থির ঘনত্ব ও পুরুত্ব ক্রমশ কমতে থাকে। তাই এ রোগটি পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

অস্টিওপোরোসিসের লক্ষণ ও উপসর্গ :
১. অস্থি ভঙ্গর হয়ে যাওয়া, অস্থির ঘনত্ব কমতে থাকা।
২. পেশির শক্তি কমতে থাকা।
৩. পিঠের পেছনে ঘন ঘন ব্যথা অনুভব করা।
৪. সামান্য পরিশ্রমেই হাড়ে ব্যাথা অনুভব করা ইত্যাদি।

প্রতিকার : কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো হাড়ের অকাল ক্ষয়ের জন্য বিশেষভাবে দায়ী। কিন্তু আমরা অনেকেই নিজেদের অজান্তে প্রতিদিন এসব খাবার খেয়ে চলেছি। আসুন জেনে নেওয়া যাক তেমন কয়েকটি খাবার বা খাদ্য উপাদানের কথা যেগুলো আমাদের হাড়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার : লবণ অর্থাৎ সোডিয়াম ক্লোরাইড দেহ থেকে ক্যালসিয়াম বের করে দিয়ে হাড়কে দুর্বল করে দেয়। চিপস, বিভিন্ন ফাস্ট ফুড, কাঁচা খাবারে বা সালাদে মেশানো লবণ হাড়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ ছাড়াও খাওয়ার সময় খাবারের পাতে বাড়তি লবণ খাওয়াও হাড়ের জন্য বেশ ক্ষতিকর।

ক্যাফেইন : চা ও কফির ক্যাফেইনও হাড়ের ক্ষয়ের জন্য দায়ী। চা বা কফি যদি নিয়ম মেনে মাত্রা রেখে পান করেন, তাহলে তা খুব একটা ক্ষতিকর কিছু নয়। দিনে দুই কাপের বেশি চা-কফি পান করা একেবারেই উচিত নয়।

অতিরিক্ত মাংস খাওয়া : মাংস হচ্ছে প্রাণীজ প্রোটিন। অতিরিক্ত মাংস মানেই অতিরিক্ত প্রোটিন। এ প্রোটিন শরীরে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি করে, যাকে নিষ্ক্রিয় করতে ক্যালসিয়াম কাজ করে থাকে। যার ফলে হাড়ে ক্যালসিয়াম কম পৌঁছে। এতে হাড়ের ক্ষতি হয়।

সফট ড্রিংকস বা নরম পানীয় : ছেলে-বুড়ো সবারই পছন্দের পানীয় সফট ড্রিংকস প্রতিনিয়ত হাড় ক্ষয় করে চলেছে। এসব নরম পানীয়তে রয়েছে ফসফরিক অ্যাসিড যা প্রসাবের মাধ্যমে দেহের ক্যালসিয়াম শরীর থেকে বের করে দেয়। যার ফলে অস্থি ক্ষয়ে যেতে থাকে।