কোভিডে থমকে টিএফআর, কোনপথে যাবে জনসংখ্যা?
অনলাইন ডেস্ক
🕐 ২:৪৭ অপরাহ্ণ, জুন ০৮, ২০২৩

১৯৭১ সাল, দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানের সীমাহীন বৈষম্য আর কর্তৃত্ববাদী শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৫২ বছরে বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়ানোর পাশাপাশি ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জনে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।
জানা গেছে, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ৭.৫ কোটি, পক্ষান্তরে পশ্চিম পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল ৪.৫ কোটি। বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির সফলতার কারণে বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি, অন্যদিকে পাকিস্তানের জনসংখ্যা এক লাফে ২৫ কোটিতে পৌঁছে গেছে।
এক সময়ে যেই দেশটি বাংলাদেশের ওপর চালিয়েছিল কর্তৃত্ববাদের খড়গ, সেই দেশটি আজ বিশাল জনসংখ্যার বোঝা মাথায় নিয়ে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। ১৯৭০ সালেও একত্রে থাকা দুটি দেশের মধ্যে কোন জাদুর কাঠির বলে এমন সফলতা পেয়েছে একটি দেশ? বিশেষজ্ঞদের মতে, সফলতার অন্যতম কারণ হলো- পরিবার পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট কর্মকৌশল নির্ধারণ এবং সুষ্ঠু তদারকির মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ।
বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভের (বিডিএইচএস) ১৯৯৯-২০০০ সালের জরিপ মতে, সেই সময়ে বাংলাদেশের টিএফআর ছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, এরপর ২০০৪ সালে ৩ শতাংশ, ২০০৭ সালে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। এরপর ২০১১, ২০১৪, ২০১৭-১৮ এবং সর্বশেষ ২০২২ বিডিএইচএসের জরিপমতে, দেশের মোট প্রজনন হার ২ দশমিক ৩ শতাংশেই অবস্থান করছে।
বিডিএইচএসের ২০২২ সালের জরিপ বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশের একজন নারী তার জীবদ্দশায় গড়ে ২ দশমিক ৩টি সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকেন। আর শহর এলাকায় টিএফআর ২ দশমিক ১ এবং গ্রামীণ এলাকায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ।
নতুন তথ্য বলছে, বর্তমানে ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ টিএফআর (২.৭) এবং রাজশাহীতে সর্বনিম্ন (২.০)। শুধুমাত্র রাজশাহীরই টিএফআর ২.১ বা তার নিচে আছে। এছাড়াও চারটি বিভাগের (বরিশাল চট্টগ্রাম ময়মনসিংহ এবং রংপুর) টিএফআর ২.৫ বা তারও বেশি।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
