ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ধূমপান ছাড়ার পর

স্বাস্থ্য কুশল ডেস্ক
🕐 ১২:৫১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০১৮

আপনি ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন? অভিনন্দন! আপনি ইতোমধ্যে আপনার শরীরের জন্য অন্যতম সর্বোত্তম একটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছেন। এখন আপনার স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনার সময়। ধূমপানের ফলে আপনার শরীরে যে ক্ষতি হয়েছে এখন তা মেরামতের সময়। এখানে ধূমপান ছাড়ার পর আপনার স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

চিরতরে ধূমপান ছাড়ুন : যদি আপনি দিনে এক প্যাকেট সিগারেট স্মোকের অভ্যাস থেকে নেমে দিনে একটি সিগারেট স্মোক করেন, তাহলে নিঃসন্দেহে তা চমৎকার শুরু। কিন্তু এ অভ্যাসটি চিরতরে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন, এমনকি দিনে একটি সিগারেটও নয়। বিভারলি হিলস ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক আলেক্স ফক্সম্যান বলেন, ‘ধূমপান বর্জন করতে কখনোই দেরি করা উচিত নয়।

আপনি জীবনে এ অভ্যাসটি যত তাড়াতাড়ি ত্যাগ করবেন, আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য তত মঙ্গল হবে।’ গবেষণায় পাওয়া গেছে, ধূমপান ত্যাগের ১০ বছরের মধ্যে ধূমপায়ীদের ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকির পরিমাণ কমে অধূমপায়ীদের ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকির সমান হয়ে যায়।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন : ডা. ফক্সম্যান বলেন, ‘কারও কারও ক্ষেত্রে জীবনের স্ট্রেস বা মানসিক চাপ তাদের ধূমপানের মতো পুরনো অভ্যাসে ফিরে যেতে প্ররোচিত করে।’ ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পর স্বাস্থ্যের যত্নের জন্য আপনাকে স্ট্রেস লেভেলের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। মানসিক চাপে শান্ত থাকার জন্য এবং ধূমপান পুনরায় শুরু না করতে সৃজনশীল উপায় খুঁজুন।

প্রতিদিন ব্যায়াম করুন : প্রতিদিন ব্যায়াম চর্চা করা হচ্ছে সুস্থ জীবনের মূলভিত্তি, বিশেষ করে সাবেক ধূমপায়ীদের জন্য। ডা. ফক্সম্যান বলেন, ‘প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।’ যদি আপনার প্রতিদিন ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে সমস্যা হয়, তাহলে মনে রাখবেন যে আপনার জন্য আপাতত জটিল ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই। যে কোনো ধরনের কার্ডিওভাস্কুলার এক্সারসাইজ অন্তত ৩০ মিনিট চর্চায় আপনার কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে, ডা. ফক্সম্যানের মতে।

তিনি যোগ করেন, ‘এমনকি হাঁটাও কার্ডিওভাস্কুলার রোগের (যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণ হতে পারে) ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস করবে। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণের জন্যও চমৎকার উপায় হলো ব্যায়াম চর্চা। ব্যায়াম চর্চায় যে কেউ উপকার পেতে পারে।’

পর্যাপ্ত ঘুমান : ধূমপানের সঙ্গে ঘুম ব্যাহত হওয়ার সম্পর্ক পাওয়া গেছে এবং নিম্নমাত্রার ঘুমের সঙ্গে হৃদরোগ, স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের সংযোগ আবিষ্কৃত হয়েছে। গবেষণা সাজেস্ট করছে, ধূমপায়ীদের নিম্নমাত্রার ঘুমের জন্য নিকোটিন দায়ী। যেহেতু আপনি ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন, এখন পর্যাপ্ত ঘুমানোর অভ্যাস চর্চা করুন। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান, বিছানায় থাকাকালে ইলেকট্রনিকস যন্ত্র ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন এবং প্রতিরাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান।

 
Electronic Paper