ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নখের দাগের চিকিৎসা

অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩

নখের দাগের চিকিৎসা

খেয়াল করলে দেখবেন অনেকেরই নখে কালো ও সাদা ছোপছোপ দাগ দেখা যায়। সব সময় এই দাগ থাকে না। বছরের বিভিন্ন সময়ে এই ধরনের দাগ ওঠে। এটা কিন্তু একটা রোগের লক্ষণ।

নখে অনেকেরই হঠাৎ দাগ তৈরি হয়। দাগটা সাদা রঙের হয়ে থাকে। এবার আঙুলের এই পরিস্থিতি দেখে বেশিরভাগই ভয় পান। এমনকী মনে করেন যে এই দাগ বোধহয় ক্যালশিয়ামের ঘাটতির জন্য হচ্ছে। আদৌ কি তাই?

শরীরের প্রতিটি জায়গার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি। কারণ কিছু সমস্যা হলে তার লক্ষণ ফুটে ওঠে দেহে। আর তা প্রথমেই চিহ্নিত করতে পারলে দেখবেন চিকিৎসায় অনেক সুবিধা হচ্ছে। তাই দুশ্চিন্তার বদলে সচেতনতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেক চিকিৎসকরাই বলে থাকেন ক্যালশিয়াম শরীরে কম থাকার কারণে এই অসুখ হয়। যদিও এই কথাটা সত্যি কিনা এই প্রশ্ন রয়ে যায় মনে। তবে উত্তর মেলে না।

কিছু কিছু চিকিৎসকরা বলেন নখের সাদা রং সাধারণত ক্যালশিয়াম ঘাটতি থেকে হয় না। এর পিছনে অন্যান্য কারণ থাকে। জানুন সেই কারণ।

কী কারণে নখে দাগ হয়?
আপনার নখের দাগের পিছনে থাকতে পারে জিংকের ঘাটতি। মানুষের শরীরে জিংক কম পরিমাণে গেলে নানা লক্ষণ বের হয়। তার মধ্যে একটি হল নখে থাকা দাগ। এবার জিংকের ঘাটতির অন্যান্য উপসর্গ হল ক্ষুধা কমে যাওয়া, পেটে ব্যথা, দুর্বলতা ইত্যাদি। তবে মাথায় রাখতে হবে যে বেশি মানুষের এই সমস্যা থাকে না। খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তিরই শরীরে অপুষ্টি বা অন্যান্য কারণে জিংক গৃহীত হয় না। তাই এই লক্ষণ দেখা যায়।

নখে দাগ থাকা কিন্তু বহু সময় তেমন বড়় রোগের লক্ষণ নয়। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় যে এই রোগের কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আপনা থেকেই হল এবং সেরে গেল। এছাড়া শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে অনেক সময় এমন সাদা দাগ হয় নখে। আবার নখে কোনও কারণে চোট লাগলে এই দাগ হয়। তাই এই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখা জরুরি।

কোন খাবারে জিংক পাওয়া যায়?
জিংক বিভিন্ন খাবারে থাকে। এরমধ্যে কাজু থেকে শুরু করে নানা ধরনের বাদামে এই উপাদান বেশি পরিমাণে মেলে। এছাড়া ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। এই খাবারটি কিন্তু দারুণ শরীরের জন্য। এমনকী পাবেন জিংক। খেতে পারেন বিনস। এই সকল খাবারে থাকে ভালো পরিমাণে জিংক। পাশাপাশি ডিম, মাংসেও জিংক মেলে।

প্রোটিন পাবেন কীভাবে?
প্রোটিন শরীরে জরুরি। নানা খাবারে থাকে এই জিনিস। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে প্রোটিন কম গেলে পেশি থেকে হাড়, হরমোন তৈরির মতো কাজে বিঘ্ন হয়। তাই প্রোটিন খেতে হবে। এই ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্ট সাধারণত ৪টি খাবারে বেশি পরিমাণে পাবেন। তাই মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ খান। নিরামিষ খেতে চাইলে খেতে পারেন সয়াবিন, টফু।

নখের দাগের চিকিৎসা
নখে সাদা দাগের কোনও চিকিৎসার দরকার নেই। নিজে থেকেই চলে যায়। আপনি ২ মাস দেখুন। তারমধ্যেই চলে যাবে। তবে সব আঙুলে হলে বা ১ থেকে ২ বছর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তখন চিকিৎসক এর কারণ খুঁজে নেবেন। তারপর নির্দিষ্ট চিকিৎসা সম্ভব। তবে আপনি দয়াকরে নিজের বুদ্ধিতে ওষুধ কিনে খাবেন না। এমনকী সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার চেষ্টা করবেন না।

 
Electronic Paper