ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কিডনিতে পাথর হয় কেন?

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১:০৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২২

কিডনিতে পাথর হয় কেন?


কিডনিতে পাথর একটি গুরুতর সমস্যা। তাই প্রতিটি ব্যক্তিকে এই সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কিডনিতে পাথর হলে খাদ্যতালিকা মেনে চলা জরুরি। বর্তমানে প্রচুর মানুষ এই অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন।

পাথর ছোট বা বড় হতে পারে। কিডনিতে পাথর হওয়ার কিছু লক্ষণ থাকে। প্রথমে পিঠের দিকে ব্যথা হয়। এ ছাড়া পাথর নিচের দিকে নেমে এলে তলপেটে ব্যথা হতে পারে।
লক্ষণ

 

কিডনি পাথর সাধারণত উপসর্গ সৃষ্টি করে না, যতক্ষণ না কিডনির মধ্যে প্রবেশ করে বা মূত্রনালিতে না যায়। মূত্রনালি হলো টিউব, যা কিডনি এবং মূত্রাশয়কে সংযুক্ত করে। মূত্রনালিতে পাথর জমা হয়ে গেলে প্রস্রাবের প্রবাহকে বাধা দিতে পারে এবং কিডনি ফুলে যেতে পারে। আবার মূত্রনালিতে খিঁচুনি হতে পারে। যেটা খুব বেদনাদায়ক।

এই সময় এই লক্ষণগুলো অনুভব করতে পারেন : 

** পাঁজরের নিচে, পাশে এবং পেছনে তীব্র, তীক্ষ্ণ ব্যথা।
** ব্যথা যেটা তলপেটে এবং কুঁচকিতে ছড়িয়ে পড়ে।
** ব্যথা কম থেকে তীব্র হতে পারে। ব্যথা ওঠানামা করে।
** প্রস্রাব করার সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হয়।

অন্যান্য লক্ষণ এবং উপসর্গ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে :

** গোলাপি, লাল বা বাদামি প্রস্রাব।
** ঘোলা বা দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব।
** বারবার প্রস্রাবের বেগ।
**বমি বমি ভাব এবং বমি।
** সংক্রমণ হলে জ্বর এবং ঠাণ্ডা লাগা।

কেন হয় কিডনিতে পাথর?

কিডনিতে পাথর (যাকে রেনাল ক্যালকুলি, নেফ্রোলিথিয়াসিস বা ইউরোলিথিয়াসিসও বলা হয়) হলো খনিজ এবং লবণ দিয়ে তৈরি শক্ত পদার্থ। যা কিডনির ভেতরে তৈরি হয়। ডায়েট, শরীরের অতিরিক্ত ওজন, কিছু রোগের চিকিৎসা, কিছু ধরনের ওষুধ কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ হতে পারে। কিডনিতে পাথর সময়মতো শনাক্ত হলে স্থায়ী কোনো ক্ষতি করে না। আপনার অবস্থার ওপর নির্ভর করে চিকিৎসা করানো হয়। কিডনিতে পাথর বের করার জন্য ব্যথার ওষুধ খাওয়া এবং প্রচুর পানি পান করা ছাড়া আর কিছুই লাগে না। অন্যান্য ক্ষেত্রে যেমন- যদি মূত্রনালিতে পাথর জমা হয়ে যায়, মূত্রনালির সংক্রমণের সঙ্গে যুক্ত থাকে বা জটিলতা সৃষ্টি হয়, তাহলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।

ভারতের কলকাতার বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আশিস মিত্র বলেন, অনেক কারণে হতে পারে কিডনিতে পাথর। আসুন জানা যাক-

১. পানি পান কম করলে শরীর থেকে খনিজ বের হতে পারে না। এ কারণে কিডনিতে পাথর হতে পারে।

২. অনেক সময় শরীরে ইউরিক এসিড বেশি থাকে। ইউরিক এসিড শুধু পায়ে ব্যথার কারণ না, এর পাশাপাশি কিডনিতে জমতে পারে এই এসিড। তখন পাথর হতে পারে।

৩. অনেকের শরীরে ফসফরাস, ক্যালসিয়ামসহ নানা খনিজের বিপাকে সমস্যা হয়। সেই পরিস্থিতিতে জমতে পারে কিডনিতে পাথর।

আসলে কিডনিতে পাথর হওয়ার নির্দিষ্ট বা একক কারণ নেই। যদিও বিভিন্ন কারণ আপনার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

** কাদের বেশি হয়?

ডা. আশিস মিত্র বলেন, যেকোনো মানুষের হতে পারে কিডনিতে পাথর। এখানে ভাগের কিছু নাই। মাথায় রাখতে হবে ছোট থেকে বড় সবারই পাথর হয়। তাই ছোটদের এই অসুখ হয় না বলে ভাবলে ভুল হবে।

** জীবনযাপন

ডা. আশিস মিত্র বলেন, রোগীদের নিজের জীবনযাত্রা ঠিক রাখতে হবে। এই পরিস্থিতিতে বেশি পরিমাণে পানি পান করুন। ইউরিক এসিড কমাতে হবে। ক্যালসিয়ামের মাত্রাও যাচাই করতে হবে।

সূত্র : এই সময়, মায়ো ক্লিনিক

 
Electronic Paper