নতুন মায়েদের জন্য
স্বাস্থ্য কুশল ডেস্ক
🕐 ৩:১০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কিছু খাবার আছে যা মায়েদের এড়িয়ে চলতে হয়। অনেক সময় দেখা গেছে, এই খাবারগুলো খাওয়ার পর বাচ্চারা মায়ের দুধ খেতে চায় না অথবা দুধ খেলে অসুস্থ’ হয়ে পড়তে পারে। তাই মায়েদের সচেতন থাকতে হয় সর্বক্ষণ। বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর সময় এমন কোনো খাবার খাওয়া যাবে না যাতে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে
লেবু জাতীয় ফল
লেবু জাতীয় সব ফল এই সময় এড়িয়ে যাওয়া উচিত। এই জাতীয় ফলে অ্যাসিড থাকে যা শিশুর বুক জ্বালাপোড়া, পেটব্যথার কারণ হতে পারে। এমনকি শিশুর শরীরে র্যাশ বা অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। আপনি লেবুর পরিবর্তে অন্য ভিটামিন সি-এর উৎস যেমন পেঁপে, আম খেতে পারেন।
চকোলেট
এই সময় আপনার প্রিয় চকোলেট খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। চকোলেট বিশেষ করে ডার্ক চকোলেটে ক্যাফিন থাকে যা আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। চকোলেট খাওয়ার পর দুধ খেলে আপনার বাচ্চা যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে বা ত্বকে র্যাশ দেখা দেয় তবে চকোলেট খাওয়া বন্ধ করে দিন।
ব্রকোলি
ব্রকোলির পুষ্টিগুণ অনেক, কিন্তু বাচ্চা দুধ খাওয়ানোর সময় ব্রকোলি, ফুলকপি জাতীয় গ্যাস সৃষ্টিকারী সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই খাবারগুলো পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে থাকে যা বাচ্চার ক্ষতি করে।
কফি
আপনি যখন কফি বা চা পান করেন তখন ক্যাফিনের কিছু অংশ দুধের সঙ্গে মিশে যায়। ছোট শিশুদের বড়দের মতো ক্যাফিন শোষণ করার ক্ষমতা থাকে না। ফলে ওদের পেটে ব্যথা, বুক জ্বালাপোড়া, অনিদ্রা দেখা দিতে পারে। তাই বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
রসুন
আপনার যদি কাঁচা রসুন বা রসুনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তবে আজই এই অভ্যাস ত্যাগ করুন। রসুনের গন্ধ বুকের দুধের মধ্যে আসে যা আপনার বাচ্চা পছন্দ নাও করতে পারে।
কিছু মাছ
মাছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। কিন্তু কিছু মাছ যেমন টুনা মাছ, আঁশযুক্ত মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
দুগ্ধজাত খাবার
দুধ এবং দুধ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। কিন্তু শিশুরা এই জাতীয় খাবার সহজে হজম করতে পারে না। বিশেষ করে গরুর দুধের প্রোটিন। চিজ, পনির, টকদই বা অন্য কোনো দুগ্ধ জাতীয় খাবার মা খেলে তা দুধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে চলে যায়। এতে শিশুর হজমের সমস্যা, পেটে গ্যাস বা পেট ব্যথাসহ অনেক সমস্যা দেখে দিতে পারে।