ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হাড়ের গিট থেকে মুক্তি

স্বাস্থ্য কুশল ডেস্ক
🕐 ৩:১২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৫, ২০১৮

শীতে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতেই পারে। যাদের আথ্রাইটিস আছে এদের অনেকেই অভিযোগ করেন, শীতকালে হাড়ের গিটগুলোতে ব্যথা খুব বাড়ে, কেন তা বাড়ে জানা নেই। হাড়ের গিটের সমস্যা যেমন ব্যথা ও নিশ্চলতা আবহাওয়াতে প্রভাবিত হয়। শীতের এসব অসুখ মোকাবেলায় শরীরকে সাহায্য করার জন্য আছে নানা উপায়

নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে তবে সযত্নে
সপ্তাহে তিন থেকে পাঁচ দিন নিয়মিত ব্যায়াম করলে হাড়ের গিট থাকে সুস্থ। যে সব ব্যায়ামে শরীরে চাপ কম পড়ে যেমন সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা। হাঁটুতে সমস্যা থাকলে, দৌড়ঝাঁপ, সিঁড়ি বেয়ে উঠা, ভারি জিনিস বহন করা এসব এড়ানো ভালো কারণ এতে হাঁটুর ওপর চাপ পড়ে।

প্রদাহ প্রতিরোধ করার জন্য সুখাদ্য প্রয়োজন
চর্বিযুক্ত লাল গোস্ত খাওয়া যাবে না কারণ এতে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং ক্যালসিয়াম ক্ষয় ঘটে। যেসব খাবার প্রক্রিয়াজাত হয় এগুলো এড়ানো ভালো, যেমন মিলে ছাটা সাদা চাল, ময়দার রুটি বা নাস্তাতে এমন খাবার যাতে আছে ট্রান্সফ্যাটি এসিড এবং সম্পৃক্ত চর্বি।

এসব খাবার খাওয়া ঠিক না কারণ এসব খাবার খেলে শরীরে প্রদাহ বাড়ে। এর পরিবর্তে এমন খাবার খাওয়া ভালো, যাতে রয়েছে প্রদাহরোধী গুণাগুণ যেমন ফলফলারি, শাকসবজি, গোটা দানা শস্য, বাদাম ও উদ্ভিজ তেল। খেতে হবে প্রচুর তৈলাক্ত মাছ ও গভীর সমুদ্রের শীতল পানির মাছ।

অনেকে বলেন মোটা তাজা, কিন্তু এটা সঠিক নয় বরং মোটা রোগা বলাই ভালো। মোটা হলে অসুখ শরীরে বাসা বাধে। শরীরে বাড়তি ওজন কমিয়ে থাকতে পারলে হাঁটুর ওপর চাপ কমে। কারণ হাড়ের নিচের ব্যথা বেশি হয় হাঁটুতে। দেহের উচ্চতার সঙ্গে ওজনের অনুপাত হলো বডিমাম ইনডেক্স বা বিএমআই (ইগও), এ পরিমাপ থেকে জানা যায় শরীরের ওজন সঠিক রয়েছে কিনা। বিএমআই ২৫ এর নিচে থাকলে ভালো। বিজ্ঞজনদের অভিমত।

স্ট্রেচিং প্রয়োজন
হাঁটুর ওপর টান টান পেশির চাপ অনেকটা কমাতে পারে স্ট্রেচিং ব্যায়াম। হ্যার্মাস্টিং পেশি টান টান থাকলে একটা ব্যায়াম করা যেতে পারে। চিৎ হয়ে শুয়ে পরুন, এক হাত দিয়ে একটি হাঁটু ধরে একে যত কাছে সম্ভব বুকের কাছে আনুন। এভাবে রাখুন কয়েক সেকেন্ড। বিপরীত হাঁটুর এমনি ব্যায়াম করুন। সপ্তাহে তিন থেকে পাঁচ দিন। প্রতিদিন পাঁচবার এ ব্যায়াম করুন।

হিমক্ষত
আমাদের শরীর খারাপ বা চাপগ্রস্ত এমন হলেই হিমক্ষত হয় মনে করি আমরা। হিমক্ষতের কোনো নিরাময় নেই, তবে শীতে নিজের দেখভাল করলে একে ঠেকানো যায়।

টিপস
প্রতিদিন এমন সব কাজ করা উচিত যাতে মনে চাপ পড়ে কম, চাপ হ্রাস পায় যাতে যেমন গোসল অথবা পার্কে হাঁটুন।

 
Electronic Paper