গরমেও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা, ঝুঁকি এড়াতে করণীয় কী?
ডেস্ক নিউজ
🕐 ২:২৪ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২২

গ্রীষ্মের এই গরমে মাঝে মধ্যে খানিকটা বৃষ্টি হলেও অধিকাংশ সময়ই প্রচুর গরম থাকে। তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা। আর এই গ্রীষ্মেই হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এমনকি অজান্তেই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। যেকোনো সময় হার্ট অ্যাটাক হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কোনো আগাম সংকেত ছাড়াই আসে। হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হতে শুরু করলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সম্ভাবনা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। সাধারণত শীতকালে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকলেও গ্রীষ্মেও যখন-তখন হানা দিতে পারে হৃদরোগ। আর হিট স্ট্রোকের কারণে হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঠিক সেই মুহূর্তেই বিপত্তি ঘটার শঙ্কা থেকে যায়।
এছাড়া কর্মব্যস্ত জীবনে প্রতিদিন বাড়তে থাকা মানসিক চাপ ও উদ্বেগের জন্যও হৃদরোগ হতে পারে। ধমনী ব্লক হলে অক্সিজেনযুক্ত পরিশুদ্ধ রক্ত হৃদযন্ত্রে পৌঁছাতে পারে না। সেই সময়ই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। এ সময় দ্রুত চিকিৎসা না নিলে হৃদযন্ত্রের সেই অংশটি অকেজো হয়ে যায়। আবার গ্রীষ্মের প্রখর দহনে সামান্য কিছু খেলেই তা হজমে অসুবিধা হয় অনেকের। এক্ষেত্রে বদহজমের কারণে অনেকের হার্টের উপর প্রভাব পড়ে।
হৃদরোগ এড়াতে সবারই সতর্ক হওয়া উচিত। এ জন্য বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এবার তাহলে কয়েকটি নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন: গ্রীষ্মে মাছ-মাংস খাওয়ার পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত কয়েকদিন শাক-সবজি ও ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। শাক-সবজিতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম, এ জন্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়া ওটস, ব্রাউন রাইস, বিনস, মসুর ডাল, বাদাম, বীজ ও নানা ধরনের ফল রাখুন খাদ্য তালিকায়। সারাদিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। আর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
শরীরচর্চা: ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। এ জন্য গ্রীষ্মেও নিয়মিত শরীরচর্চা করা উচিত। একই সঙ্গে হাঁটাহাঁটি করতে হবে। তবে অবশ্যই ভারী শরীরচর্চা করা যাবে না। হালকা ব্যায়াম ও যোগাসন করলেই যথেষ্ট।
পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবেও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। শরীর যদি সঠিক পরিমাণে বিশ্রাম না পায় তাহলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ ভালো হয় না। এ ক্ষেত্রে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ বেশি মাত্রায় হয় এবং ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এ জন্য আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
মানসিক চাপ কমানো: অফিসের কাজের চাপ, পারিবারিক সমস্যা নিয়ে প্রায় সবাই চিন্তিত থাকেন। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও বাড়ে। আবার বেশি খাওয়া, ঘুমের সমস্যা ও মানসিক ক্লান্তিও দেখা দেয়। তবে মনোযোগ বাড়াতে ধ্যান করতে পারেন। আর বই পড়া ও গান শোনার অভ্যাস থাকলে এসবও চর্চা করতে পারেন।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
