ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সিএসই পড়াশোনা

নূর আলম
🕐 ২:৩৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১

সিএসই পড়াশোনা

চাকরির বাজারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রয়োজন সময়োপযোগী পড়াশোনা। এক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিষয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে পারেন। বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াাজেদ আলী মিয়ার হাত ১৯৯৬ সালে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। উদ্বোধনীর দিন থেকে আজ পর্যন্ত এ বিভাগ অনেক সফলতা বয়ে এনেছে।

বর্তমানে এ বিভাগে ২ হাজার শিক্ষাথী অধ্যয়নরত। তার মধ্যে শতাধিক বিদেশী ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এখানকার পাসকৃত এসব শিক্ষার্থী দেশ ও বিদেশের নামীদামি বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মে নিয়োজিত রয়েছেন। এরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ কর্মস্থলে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন। এ ইউনিভার্সিটির গর্ব হলো এখানে রয়েছে মানসম্পন্ন অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি এবং মাল্টিমিডিয়া সুবিধাসহ সুসজ্জিত ক্লাসরুম।

এ বিভাগের অধীনে রয়েছে আটটি সুবৃহৎ কম্পিউটার ল্যাবরেটরি। ল্যাবরেটরিতে রয়েছে প্রায় ৩০০টি অত্যাধুনিক কম্পিউটার। রয়েছে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট ও ফ্রি ওয়াইফাই সার্ভিস। এ বিভাগের অধীনে তিনটি কোর্স পরিচালনা করা হয়। কোর্সগুলো হলো বিএসসি ইন সিএসই (দিবা/সান্ধ্যকালীন), এমএসসি ইন সিএসই। এ ছাড়া ৪টি শর্ট সার্টিফিকেট কোর্স পরিচালনা করা হয়। কোর্সগুলো হলো ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, এন্ড্রয়েড, নেটওয়ার্কিং এবং ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট।

উপদেষ্টা হিসেবে এই বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু। তিনি বলেন, অন্যান্য ইউনিভার্সিটির তুলনায় এখানে টিউশন ফি অনেক কম। তবে লেখাপড়ার মান উন্নত। কোয়ালিটির ব্যাপারে ছাড় দেওয়া হয় না। এখানে বিশ্বমানের শিক্ষাদান দেওয়া হয়। এখানকার শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে গবেষণায় এবং তাদের কর্মস্থলে সফলতা দেখাতে পারেন।

এ বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুবুর রহমান সরকার বলেন, এ ইউনিভার্সিটি থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীরা বিদেশে উচ্চতর শিক্ষা নিচ্ছেন এবং দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সফটওয়ার ফার্ম, নেটওয়ার্কিং ফার্মসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কর্মরত রয়েছেন। এখানে অধ্যয়ন করলে, অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, বাস্তবভিত্তিক পড়ালেখার পদ্ধতি এবং সর্বোপরি পাস করে চাকরির নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। বোর্ড অব স্ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি বলেন, যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমার বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের খ্যাতিমান অধ্যাপক ড. এবিএম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী ১৯৯৫ সালে এই ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন, তা অটুট রেখেই আমরা এ ইউনিভার্সিটি পরিচালনা করে আসছি।

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দিবা শাখার জন্য এখানে টিউশন ফি নেওয়া হয় ৩ লাখ ৫১ হাজার ৫শ’ টাকা। ডিপ্লোমাধারীদের জন্য সান্ধ্যকালীন কোর্স ফি নেওয়া হয় ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। এমএসসি ইন সিএসই কোর্সের জন্য টিউশন ফি নেওয়া ৯৬ হাজার টাকা। বোর্ড অব স্ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এস কাদির পাটোয়ারী জানান, এখানকার পাসকৃত শিক্ষার্থীরা বিদেশে এবং দেশের নামীদামি বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মে নিয়োজিত রয়েছেন। এরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ কর্মস্থলে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন।

বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ : স্থায়ী ক্যাম্পাস, সাতারকুল, বাড্ডা, ঢাকা। ০১৯৩৯৮৫১০৬০

 

 
Electronic Paper