শুভ্র শরতে কাপাসিয়া কলেজ
শামিম সিকদার
🕐 ১:৩৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৭, ২০১৮
কয়েক দিন ধরে কোনো বৃষ্টি হয় না। তাই পুরো কলেজ ক্যাম্পাসটিতে কেমন যেন একটি ফ্যাকাসে ভাব। কলেজের মাঠের দুর্বা ঘাসগুলোও যেন শুকিয়ে বিবর্ণ সবুজ রঙে পরিণত হয়েছে। উত্তর পাশ দিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসের মূল ফটকে প্রবেশ করতেই মাঠ পেরিয়ে পুকুর পাড়ের পশ্চিম পাশের সাদা স্বচ্ছ কাশফুলগুলো এলোমেলো বাতাসে উড়ছে, তা স্পষ্ট চোখে পড়ে। কিন্তু শুভ্র শরতের স্নিগ্ধ এ প্রকৃতিতে কোথায় যেন একটি শূন্যতা জড়িয়ে আছে।
আকাশ বেশ মেঘলা, সাদা মেঘের টুকরোগুলো এদিক সেদিক ছুটে বেড়াচ্ছে; দেখলে মনে হয় যে কোনো সময় অঝরে কান্না শুরু করবে। হঠাৎ করেই টুপটাপ বৃষ্টিতে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে বৃষ্টিপ্রেমীদের জন্য আনন্দের একটি জোয়ার বয়ে গেল।
সূর্যের আলোতে ভেজা ফুলগুলো ঝলমল করছে। আমি ও কিবরিয়া চলে গেলাম বৃষ্টি ভেজা কাশফুলের হাসি দেখার জন্য। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র খোদাদিয়া গ্রামে ছিল জমিদার রামনাথ রায়ের বাড়ি। জমিদার রামনাথ রায়ের মৃত্যুর পর তার তিন পুত্র ভূবতি চন্দ্র রায়, পরেশ চন্দ্র রায় ও প্রাণ গোপাল রায় একে একে জমিদারি স্টেট পরিচালনা করেন।
জমিদার বাড়িটিতে এখন কাপাসিয়া কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যা স্থাপিত করা হয় ১৯৬৫ সালে। ২১ একর জায়গা নিয়ে এ কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হলেও সংস্কার করা হয়নি জমিদার বাড়িটি। এমন বিশাল বিস্তৃতিসম্পন্ন কলেজ ক্যাম্পাস গাজীপুরে দ্বিতীয়টি আর নেই। প্রকৃতির ছোঁয়ায় ক্যাম্পাসের প্রতিটি স্থানই দৃষ্টিনন্দন।