বসন্তের সাজে নোবিপ্রবি
ফাহাদ হোসেন
🕐 ১২:৪৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৭, ২০২১
শীতের রুক্ষতা মুছে দক্ষিণ হাওয়ায় ভর করে এসেছে বসন্ত। ঋতুর রাজা বসন্ত এসে গেছে, আর বসন্তকে স্বাগত জানাতে ফুলে ফুলে সেজে উঠেছে প্রকৃতি। কারণ বসন্ত মানেই বাহারি ফুলের সমাহার। দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে লেগেছে বসন্তের ছোঁয়া। ‘হে কবি নীরব কেন? ফাগুন যে এসেছে ধরায়। বসন্ত বরিয়া লবে না তব বন্দনায়? প্রকৃতি আপন রূপে সজ্জিত হলেও কবি এবার আসলেই নীরব। কালের পরিক্রমায় হাড়কাঁপানো শীতকে বিদায় জানিয়ে এবারো প্রকৃতিতে আগমন ঘটেছে ঋতুরাজ বসন্তের। মহামারী করোনার কারণে দীর্ঘ প্রায় ১ বছর বন্ধ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অথচ প্রতিবছর ফাগুনের মোহনায় নানা আয়োজন ও উৎসবে হারিয়ে যেত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা। বসন্ত উপলক্ষে প্রতিবছরই থাকতো বাহারি সাজ, হরেক আয়োজন।
উপকূলীয় অক্সফোর্ড হিসেবে খ্যাত ১০১ একরের নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে (নোবিপ্রবি)-তে লেগেছে বসন্তের ছোঁয়া। ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোণা নানা রঙয়ের বাহারি ফুলে ভরে গিয়েছে। বসন্তের ফুলের মুগ্ধতা ছড়িয়ে গেছে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে। বসন্তের বধূর মতো সাজে সেজেছে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায়, নেই কোনো কোলাহল। নেই ক্যাম্পাসে বসন্তকে বরণ করে নেওয়া প্রকৃতিপ্রেমী শিক্ষার্থীদের কোনো কার্যক্রম। অথচ, বসন্ত উপলক্ষে প্রতিবছরই নোবিপ্রবিতে থাকত বাহারি সাজ, হরেক আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিটি হলের সামনে এবং ক্যাম্পাসের প্রায় প্রতিটি স্থানে গড়ে উঠেছে অনিন্দ্য সুন্দর ফুলের বাগান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর ও অডিটোরিয়াম ভবনের সামনের চত্বরের বাগানে ফুটেছে নানা রঙয়ের হরেক রকমের ফুল। ফুলগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন ধরনের গাঁদা, ডালিয়া, জিনিয়া, গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, মোরগ ঝুঁটিসহ নানা প্রজাতির ফুল। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে প্রজাপতি আর মধু আহরণে ব্যস্ত মৌমাছি। মনে হয় বসন্ত যেন তার পুরো রঙ রূপ ঢেলে দিয়েছে ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস না চললেও, বসন্তের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসছেন। শিক্ষার্থীদের গল্পে-আড্ডায় জমে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর, প্রশান্তি পার্ক, নীলদীঘির মতো নোবিপ্রবির দর্শনীয় স্থানগুলো। এছাড়াও প্রকৃতির টানে পার্শ্ববর্তী এলাকায় থাকা সৌখিন মানুষরা তাদের বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসে এই ক্যাম্পাসে।