ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিসিএস প্রস্তুতি ও পরামর্শ

প্রিয় ক্যাম্পাস ডেস্ক
🕐 ৪:১৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১

বিসিএস প্রস্তুতি ও পরামর্শ

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪১তম ও ৪২তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করেছে। ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৯ মার্চ। ৪২তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

৪২ তম বিশেষ বিসিএসের জন্য পরীক্ষা হবে ৩০০ নম্বরের। এর মধ্যে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা (এমসিকিউ টাইপ) হবে। আর ১০০ নম্বরের হবে মৌখিক পরীক্ষা। ২০০ নম্বরের পরীক্ষার জন্য প্রার্থীরা সময় পাবেন দুই ঘণ্টা। প্রিলিমিনারিতে মেডিকেল সায়েন্স (১০০), বাংলা (২০), ইংরেজি (২০), বাংলাদেশ বিষয়াবলি (২০), আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি (২০), মানসিক দক্ষতা (১০) ও গাণিতিক যুক্তির (১০) ওপর পরীক্ষা হবে। পরীক্ষায় প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য প্রার্থী ১ নম্বর পাবেন। তবে ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে।

৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বরের মধ্যে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ৩৫, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে ৩৫, বাংলাদেশ বিষয়ে ৩০, আন্তর্জাতিক বিষয়ে ২০, ভূগোল পরিবেশ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ১০, সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ে ১৫, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে ১৫, গাণিতিক যুক্তি বিষয়ে ১৫, মানসিক দক্ষতায় ১৫, নৈতিকতা, মূল্যবোধ এবং সুশাসন বিষয়ে ১০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে অর্ধেক নম্বর।

১. প্রিলিতে আপনাকে টিকতেই হবে-এ চিন্তা না করে বরং ভাবুন, আপনি আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন, বাকিটা ভাগ্য। বেশি চাপ অনুভব করলে আপনার সব প্রস্তুতিই বিফলে যাবে। যাঁরা এর আগে বিসিএস বা অন্য চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, তাঁরা হয়তো জানেন, কীভাবে এ সময় চাপ অনুভব করা আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
২. বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাছাই করুন। কম সময়ে অধিক প্রশ্ন কমন পেতে এর কোনো বিকল্প নেই। তা ছাড়া হাতেও বেশি সময় নেই। আপনি যদি বুঝতে পারেন কোন অংশগুলো আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবেই কেবল আপনি অল্প প্রস্তুতিতে ভালো পরীক্ষা দিতে পারবেন। এ জন্য প্রয়োজনে বিগত বছরগুলোতে কোন চ্যাপ্টারগুলো হতে বেশি প্রশ্ন এসেছে, তা দেখে নিন।
৩. সাধারণ জ্ঞান অংশে যত কম সম্ভব সময় দিন।
এ অংশে অনেক সময় দিয়ে আপনি যে মার্কস পাবেন, অন্য অংশে অনেক কম সময় দিয়ে আপনি অনেক বেশি মার্কস পাবেন।
৪. বাংলা ব্যাকরণ অংশের গুরুত্বপূর্ণ চ্যাপ্টারগুলো দেখে নিতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন লেখকের লেখাগুলো দেখে নিতে পারেন। সব চ্যাপ্টার পড়তে গেলে অন্য অংশে সময় দিতে পারবেন না।
৫. অঙ্কের সূত্রগুলো দেখে নিতে পারেন। সূত্রগুলো জানা থাকলে অঙ্ক সঠিকভাবে করে নিতে পারবেন। মানসিক দক্ষতা অংশ নিয়ে খুব মাথাব্যথা না দেখালেও সম্ভবত চলবে।
৬. কম্পিউটার অংশে কম পড়ে অনেক মার্কস তুলতে পারবেন। তাই এই অংশ দেখতে পারেন।
৭. বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও একই কথা, একবার পুরো বই দেখে নিতে পারেন। সম্ভব না হলে গুরুত্বপূর্ণ চ্যাপ্টারগুলো পড়ে নিতে পারেন।
৮. ইংরেজির ব্যাকরণ অংশের নিয়মগুলো দেখে নিতে পারেন। এই অংশে কম সময়ে অনেক প্রশ্ন কমন পেতে পারেন।
আর সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্ম দেখে নিতে পারেন।
৯. আমি ধরে নিচ্ছি, যাঁরা মোটামুটি সন্তোষজনক প্রস্তুতি এরই মধ্যে নিয়েছেন, তাঁরা বিগত বছরের প্রশ্ন পড়া শেষ করেছেন। যদি কারো ভুলবশত বা অন্য কারণে পড়া না হয়ে থাকে, তাহলে পড়ে ফেলুন।
১০. সিলেবাসের অংশগুলোকে সামগ্রিকভাবে ভাবুন। কোনো অংশে অধিক গুরুত্ব দিতে গিয়ে বাকি অংশের প্রস্তুতিকে বাধাগ্রস্ত করবেন না।
১১. একটা তালিকা করে নিতে পারেন, সামনের কোন দিন আপনি কী পড়বেন। এমনভাবেই তালিকাটি তৈরি করবেন, যা শেষ করা আপনার দ্বারা সম্ভব।
১২. পরীক্ষার হলে সময়
ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কয়েকটি মডেল টেস্ট দিয়ে ফেলুন ঘড়ি ধরে। আর দেখুন, আপনার সময়ের ব্যবহার ঠিক আছে কি না। ঠিক না থাকলে কারণ বের করুন।
১৩. সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন না, এ সিদ্ধান্ত নিন। সব প্রশ্নের উত্তর কারো দ্বারাই দেওয়া সম্ভব হবে না। শুধু নিশ্চিত হয়েই উত্তর দেবেন।
১৪. যে প্রশ্নের উত্তর জানা নেই, তা প্রশ্ন দেখে বোঝামাত্রই একটি চিহ্ন দিয়ে পরের প্রশ্নে চলে যান। পরে সময় পেলে আবার এ প্রশ্নের পেছনে সময় ব্যয় করতে পারবেন।
১৫. শেষ প্রশ্নটি পর্যন্ত আপনার নিশ্চিতভাবে জানা উত্তরগুলো দ্রুত লেখার পর আপনি অতিরিক্ত সময় পেলেই কেবল চিন্তা করে দেওয়ার মতো প্রশ্নগুলোতে যাবেন। এখানে যে কয়টি উত্তর করতে পারবেন, সে কয়টাই আপনার বোনাস।

 
Electronic Paper