একাদশ শ্রেণি
কলেজের প্রথম দিন...
তানজিন রোবায়েত রোহান
🕐 ১২:৫৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২০
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রুশনাত মেহজাবিন অহনা জানায়, আমাদের নবীন বরণ ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে জানার পর থেকেই আগ্রহী ছিলাম। অনলাইনে নবীন বরণ সবার জন্যই নতুন অভিজ্ঞতা। এসএসসি পরীক্ষার পর সবারই একটা স্বপ্ন থাকে কলেজে গিয়ে নতুন বন্ধুদের পাওয়া, অচেনা ক্যাম্পাসটা দেখা আর নতুন প্রতিষ্ঠানটিতে প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেওয়া। আর এসব কিছুই করা হয়নি এটা ভেবে কিছুটা মন ভার হলেও নবীন বরণে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শিক্ষকদের দিক নির্দেশনা এবং তাদের মন ভালো করা বক্তব্যে অধরা স্বপ্নগুলো যেন পূর্ণতা পায়।
নটরডেম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সামিন জাহান সিয়াম বলেন, এই প্রথম অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা হলো। ঘরে বসে সে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আমি সুযোগ পেয়ে যাই স্বপ্নের নটরডেম কলেজে। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই কত স্বপ্ন ছিল নটরডেম কলেজে পড়ব! আজ আমার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিল। ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা এবং ব্যাগসহ অন্যান্য জিনিস সংগ্রহের জন্য এখন পর্যন্ত মাত্র একবারই কলেজে যেতে হয়েছে। জীবনে প্রথম নটরডেম কলেজে পা রেখে সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাসটা দেখা হয়। চারপাশটা ঘুরে দেখছিলাম আর ভাবছিলাম, ক্যাম্পাসে ক্লাস করার অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই দারুণ হবে।
যশোর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া লাবণ্য বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মতো আমারও স্বপ্ন ছিল কলেজ জীবনের প্রথম দিনটি নিয়ে। নতুন সহপাঠীদের সঙ্গে ক্যাম্পাসে বসে ক্লাস করার কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও আমাদের অনলাইনভিত্তিক ক্লাস আমাদের কলেজ জীবনে বৈচিত্র্যতা এনেছে। সরাসরি কারোর সঙ্গে দেখা না হলেও অনলাইন ক্লাসে সবার সঙ্গেই মানিয়ে নিচ্ছি এবং ধীরে ধীরে সবার সঙ্গেই পরিচিত হচ্ছি। শিক্ষকরাও আমাদের দারুণ ক্লাস করাচ্ছেন। অনলাইন আর সরাসরি ক্লাসের মধ্যে বিস্তার ফারাক থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে আমরা মানিয়ে নিয়েছি।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হুমায়রা মেহেজাবীন বলেন, স্বপ্ন ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজেই পড়ব। ভর্তিও হলাম। কিন্তু ক্লাসে যাওয়ার মতো আনন্দটা এখন আর নেই, বরং সময় হলেই ল্যাপটপ কিংবা স্মার্ট ফোনের পর্দা খুলে বসতে হয় জুম বা গুগল মিটসহ নানান রকমের সফটওয়্যারের সামনে। অনলাইন ক্লাসে বিশৃঙ্খলা হলেও শিক্ষকরা ধমক দিয়ে শাসন করেন না। স্রেফ ‘মিউট’ করে দেন। যান্ত্রিক ক্লাসরুমে মাঝে মধ্যে দম বন্ধ হয়ে এলেও পড়াশোনা খুব একটা মন্দ হয় না।
হলিক্রস কলেজের শিক্ষার্থী সাজিয়া বিনতে কবির বলেন, অনেক স্বপ্ন এবং বুক ভরা আশা নিয়ে হলিক্রস কলেজে ভর্তি হয়েছি। আর অনেক স্বপ্নও ছিল হলিক্রসে পড়ার। আর স্বপ্ন পূর্ণতা পায় অনলাইন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলেজে ভর্তি হয়ে। ভার্চুয়াল নবীন বরণে শিক্ষকরা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা এবং পরামর্শ দেন। পরদিন থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হলো এবং ক্লাসগুলোও খুব মজার। শিক্ষকরা ভালোভাবেই ক্লাস নেন এবং আমরাও নতুন পড়াগুলো ভালোভাবেই আয়ত্ত করছি।