স্মৃতিতে প্রিয় বিদ্যাপীঠ
তাসনিম হাসান আবির
🕐 ২:০৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২০
অনার্সের রেজাল্টের পর মাস্টার্সের মিডটার্মের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি, ঠিক সেই সময়েই ক্যাম্পাসটা বন্ধ হয়ে গেল। করোনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মত একদম বন্ধ হয়ে গেল। আমরাও সবাই চলে আসলাম যার যার আপন নিবাসে। সেই থেকে এতদিন পর্যন্ত বন্দিদশা।
নেই কোন পরীক্ষার চাপ, নেই সকাল ৮ টার ক্লাসে যাওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি, নেই বাঁধনের (স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন) রক্তের খোঁজে আসা রোগীর সহায়তার জন্য মানুষদের কাছে আকুতি-মিনতি, নেই পত্রিকায় লেখার জন্য শান্ত পরিবেশের খোঁজ, নেই হলের খাবারের মান নিয়ে এত সমালোচনা। সবকিছুই কেমন জানি হঠাৎ থেমে গেল।
বন্ধুরা মিলে হুট করে প্ল্যান করে ট্যুরে যাওয়া, রাতে ক্যাম্পাসের রাস্তায় সাইকেলিং, টিএসসির মাঠে বসে গানের সুরে নিজেকে হারিয়ে ফেলা, কার্জনের অসংখ্য ফুলের মাতোয়ারাতে উৎফুল্ল হওয়া! কোথায় হারিয়ে গেল সব! এভাবে তো কখনও ভাবিনি।
এই এত স্মৃতি, এত সুখ কখনও তো এভাবে রোমন্থন করিনি। আজ কেন জানি সবকিছু চোখের সামনে ভেসে উঠছে। পড়ন্ত বিকেলে সৌন্দর্যের রমণী নড়াইলের চিত্রা নদী যেন আমার স্মৃতিগুলোকে তাজা করে দিল। এই এতদিনের দম বন্ধ হওয়া পরিবেশ থেকে বেরিয়ে চিত্রার পাড়ে মনভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার পরিকল্পনা আমার সফল হল।
চিত্রার স্বচ্ছ পানি আমার স্মৃতিগুলোকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দিল। বাঁধাঘাটে বসে চিত্রার দিকে এক পানে তাকিয়ে তাকিয়ে সবকিছু ভাবছি। হলে ওঠার প্রথম রাতেই সারারাত টিএসসিতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া।