ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বৃষ্টিস্নাত ক্যাম্পাসে

রেদ্বওয়ান মাহমুদ
🕐 ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২০

সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিন বিকেল বেলা আকাশ জুড়ে থাকে রঙ-বেরঙের ছড়াছড়ি। তবে আজকের আকাশটা মেঘ ঢাকা, আমার মত আকাশেরও আজ মন খারাপ। বিকেল চারটা বাজে, দোহার কল। কীরে, কতদিন থেকে ক্যাম্পাসে যাই না! চল আজকে একটু হেঁটে আসি, অন্তত মন ভরে কিছু নিঃশ্বাস নেওয়া যাবে। ভাবলাম আসলেই তো। মন পড়ে থাকা প্রাণের ক্যাম্পাসে কাছে থেকেও কত দূরত্ব। করোনার সংকটকালীন এ সময়টাতে বড্ড নিষ্প্রাণ সারাবছর মুখর থাকা ১২০ একরের মায়াভূমিটি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ আমাদের এম.সি.কলেজ রূপে-গুণে যেন অতুলনীয়।

রেডি হয়ে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়লাম। সিএনজিতে করে দশ মিনিটের যাত্রা শেষে পৌঁছালাম কলেজ গেইটে। ওমা! তৃষ্ণার্তের মত ছুটে এসেছে রামিম, সামরান, মুবিন, ফখর, আকাশ, মামুনরা। প্রায় আড়াই মাস পর সবার সঙ্গে দেখা।

চিরচেনা ক্যাম্পাস জুড়ে আজ সাজ-সাজ রব। আকাশে কালো মেঘ, বৃষ্টিস্নাত সজীব গাছপালা, ভেজা সড়ক। প্রকৃতির সঙ্গে যেন স্নান করেছে আজ প্রিয় ক্যাম্পাসটি। আমাদের মত আরো আট-দশজন সুহৃদ ছুটে এসেছেন, হাঁটছেন একা একা।

এক এক করে প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্ট ঘুরা হলো, চিরচেনা প্রতিটি পথ আবারো হাঁটা হলো নতুন করে। তালা ঝুলানো গেইটগুলোতে চোখ পড়তেই যেন অভিমানী আওয়াজ শোনা যায়। হাজারো শিক্ষার্থীর ভিড় থাকা প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্টের রূপ এখন খুব ফ্যাকাসে। লাইব্রেরির বাইরে বাগান জুড়ে সজীবতা ফিরলেও ভেতরে যেন খুব হাহাকার।

প্রায় চার মাস পর প্রিয় জায়গাটি হাঁটতে হাঁটতে যেন প্রাণ ফিরে পাচ্ছিলাম, মন ভরে নেওয়া প্রতিটি নিঃশ্বাস যেন প্রশান্তির জোগান দিচ্ছিল।

দেড় ঘণ্টাখানিক ক্যাম্পাসে অবস্থান শেষে আজ বাসায় ফিরলাম অন্যরকম তৃপ্তিকে সঙ্গী করে।

 
Electronic Paper