তরুণদের ভাবনা
করোনা পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা
অর্ক রায় সেতু
🕐 ৯:১৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০৫, ২০২০
গতানুগতিক পৃথিবীর নিয়ম ভেঙে ক্রমশ বাড়ছে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস। সেইসাথে বাড়ছে স্বাস্থ্যখাতে সংকট। বিশাল সংকটের পর করোনা পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কি ভাবছে তরুণরা। জানাচ্ছেন -অর্ক রায় সেতু
হসপিটাল ফার্মাসিস্ট নিশ্চিত করতে হবে
অনিক শুভ, ফার্মাসিস্ট।
দেশে বর্তমানে জনগণ যে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে, তার গুণগত মান আরো উন্নত করা প্রয়োজন, সেটা এই করোনাকালে আমরা সবাই বুঝতে পেরেছি। আধুনিক স্বাস্থ্যব্যবস্থায় ‘হসপিটাল ফার্মাসিস্ট’ ছাড়া গুণগত স্বাস্থ্যসেবা দেয়া আদৌ সম্ভব নয়। গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট হাসপাতালে নিযুক্ত হলে এ দেশের হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স ও গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টরা তাদের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। করোনার পরবর্তীকালে আমাদের দেশের প্রত্যেকটি মানুষ যাতে গুণগত স্বাস্থ্য সেবা পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত
অভিজিৎ বণিক
গণিত বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও করোনা পরবর্তী জীবনযাপনে আনতে হবে অমূল পরিবর্তন। সামাজিক দূরত্বের নিয়মাবলী অবশ্যই মেনে চলতে হবে। মাস্ক ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, পকেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে এবং যথাসময়ে এর ব্যবহার করতে হবে। প্রতিদিন কর্মক্ষেত্র থেকে এসে গোসল করতে হবে। প্রতিটি হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। মোট কথা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
স্বাস্থ্যসেবার দিকে নজর দিতে হবে
জান্নাতুল কাউছার রুমকি
পরিসংখ্যান বিভাগ, কুমিল্লা বিদ্যালয়।
করোনার কঠিন সময় পার করতে পারলেও এর পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবার দিকে নজর দেয়া আমাদের দরকার। বর্তমানে যেভাবে পরিস্কার থাকছি, পরবর্তীতেও এ অভ্যাস ধরে রাখব। কারণ, করোনার ভ্যাক্সিন আসতে এখনো অনেক দেরি। তাই যে স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো রপ্ত করেছি, যেমন- হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা, সেগুলো মেনে চলতে হবে। আমাদের সকলের উচিৎ যতটুকু পারা যায় জন কোলাহল এবং সন্দেহমূলক স্থান এড়িয়ে চলা। সরকারী কার্যক্রমের পাশাপাশি ব্যক্তি সচেতনতা বাড়িয়ে দিতে হবে।
সেবার মান বাড়ানো হোক
গার্গী রায় তুষি, আইসিটি বিভাগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
করোনা মানুষের জীবনের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে। অসাবধানতার কারণে ঘটতে পারে মারাত্মক মৃত্যু ঝুকি। তাই সবার উচিত নিজেদের এবং আশেপাশের সবার খেয়াল রাখা। স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হতে সোচ্চার করা। ভিটামিন সমৃদ্ধ ফলমূল, শাকসবজি খাওয়া, তবে তা অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে। মাস্ক, গ্লাবস অবশ্যই ব্যবহার করা।
নিজেদের এবং যার যার পরিবারের সদস্যদের খেয়াল রাখা, নজর রাখা। সর্বোপরি, হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর সেবার মান বাড়াতে হবে।