ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রিয় আমতলা চাই আগের মতো
তাহমিনা আক্তার নুপুর
🕐 ১:১০ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২০
সকাল ১০ টায় ক্লাস। কিন্তু তার আগে ক্লাসের সব নোট করেছি কিনা পড়া তৈরি করেছি কিনা আজকের ক্লাসে কি পড়াতে পারে তাই নিয়ে তো আলোচনা করতেই হয়। সেজন্য ক্লাস টাইমের এক দেড় ঘন্টা আগেই সবাই আমতলায় উপস্থিত। সব ঠিকঠাক করে তারপর ক্লাসের উদ্দেশ্যে রওনা। ক্লাস শেষ করেও সবাই আমতলা থাকা চাই-ই চাই।
বলছি ফারসি ভাষাও সাহিত্য ১৪ ব্যাচের সেই দশ জনের কথা। ঐশী, সান্ত¡না, ফাইজা, জাবেদ, মুন্না, তাসরিপ, মাহবুব, তোহা, বিজয় ও আমি নূপুর। ক্যাম্পাসে এসেছি বেশিদিন হয়নি। কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি নতুন বন্ধুদের সাথে বেশ ভালো মানিয়ে নিতে পারব সেটা কখনো ভাবিনি।
আমাদের এই বন্ধুত্বের সাথে কলাভবনের সামনের আমতলা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ক্লাস টাইমের বাকি সময়টা কাটে আমাদের এই আমতলায়।
কত কথা কত আড্ডা কত স্মৃতি জমানো আছে এই আমতলায় বলে শেষ করা যাবেনা। বন্ধুরা একেকজন একেক জেলার। যার যার জেলার বিখ্যাত খাবার এনে একে অন্যকে খাওয়ানোর প্রতিযোগিতা তো আছেই। এইতো ক্যাম্পাস বন্ধের কিছুদিন আগে ঐশী তার জেলা কুমিল্লার বিখ্যাত রসমালাই এনে খাওয়ালো।
সবাই মিলে কত মজা যে করেছিলাম ঐদিন। ক্লাসের সব নোট, অ্যাসাইনমেন্ট আমরা এখানে বসেই করে থাকি। কিন্তু করোনার ভয়াল থাবার জন্য আমতলা আর আগের মতো নেই। কিছুদিন আগে ক্যাম্পাস গিয়ে ফাকা আমতলা দেখে বুকের ভিতর টা হুহু করে উঠল। এই সেই আমতলা যেখানে আমরা দিনের পর দিন আড্ডা দিয়েছি।
জনশূন্য আমতলা দেখে চোখের সামনে ভেসে উঠলো সেই সোনালী ক্যাম্পাসের দিনগুলো। মুহূর্তেই আবেগাপ্লুত হয়ে উঠলাম। কখন যেন চোখের কোনায় এক ফোঁটা জল এসে পড়ল টের-ই পেলাম না।