স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষা
আল আমিন ইসলাম নাসিম
🕐 ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ, জুন ০৭, ২০২০
ক্যাম্পাসে এবার সবচেয়ে জুনিয়র ঊনিশ বিশ (২০১৯-২০) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। সবে মাত্র কলেজের গন্ডি পেরিয়ে পা রেখেছে ক্যাম্পাসে। হাজারো কল্পনা-জল্পনা, বুকভরা স্বপ্ন আর বাবা-মায়ের ইচ্ছে পূরণ করে ক্যাম্পাসের নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়াতে শুরু করেছে সবেমাত্র। রঙিন স্বপ্ন নিয়ে ক্যাম্পাসে এসেছে দেশের ৬৪ জেলা থেকে। ক্যাম্পাসের পরিবেশ এখনও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেনি।
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, গিটারিস্ট বন্ধুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছেড়ে ভাঙ্গা কন্ঠের গান এ সব কিছুর স্বাদ তারা এখন ভুলতেই বসেছে।
ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের কারণে এ স্বাদ গ্রহণের কোনো সুযোগ। অনেকেই ভেবেছিল সীমিত সময়ের জন্য হয়তো ছুটি পাচ্ছি। সবাই বেশ খুশিও ছিলো। কেননা ভর্তি যুদ্ধ নামক এই মহাযুদ্ধ শেষ করে এই প্রথম তারা ছুটি পেয়েছে।
সবাই বাড়ির দিকে খুশিতে রওনা দিলো, অনেকে নতুন মেসে আংশিক ব্যবহার্য জিনিসপত্র রেখেই চলে গিয়েছে। এখন ক্যাম্পাসের কথা ভাবতেই যেন হার্টের স্পন্দন দ্রুত গতি লাভ করে। ভীষণভাবে মিস করছে লাল বাসে সিট ধরা, বাসে অনেক সময় দাঁড়িয়ে যাওয়া, বাসের উইন্ডো সিট। আবার অনেকেই যেন ক্যাম্পাসের প্রিয় স্থান গুলো মিস করছে।
অনেক পরিবারের সদস্যরা আশাব্রত হয়েছিল সন্তানদের নিয়ে। তারা উচ্চশিক্ষিত হয়ে চাকরি করে যেন সব অভাব অনাটন দূর করে দেবে । তবে কি এখানেই থেমে থাকবে ঊনিশ বিশ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নতুনত্বের স্বাদ আহরণ, তাদের স্বপ্নপূরণ, তাদের রঙিন স্বপ্ন, তাদের কল্পনা-জল্পনা, বুকভরা আশা। সত্যি বলতে বাস্তবে এসব থেমে থাকলেও তাদের অন্তরাল যেন এখনো কালো মেঘের আড়ালে সূর্যের হাসি।
কেউ চায় না এই করোনার শেষ প্রান্তে কোনো সহপাঠী হারিয়ে তারা ক্যাম্পাসে যাক। এখনো আশায় বুক বাঁধে এসব রঙিন স্বপ্ন পূরণের জন্য।
ইমিডিয়েট সিনিয়র হওয়া, নিজ ক্যাম্পাসে জুনিয়রদের ভর্তি পরীক্ষা দেখা, তাদের দিকনির্দেশনা দেওয়া এসব ইচ্ছেগুলো যেন তাদের মনে সর্বদা ঘুরপাক করে। একদিন ভোর হবে, নতুন সূর্য উঠবে। মিস হবে না ক্যাম্পাসের আর কোনো উৎসব। ঊনিশ বিশ আশায় বেঁধে আছে বুক, রঙিন স্বপ্ন গুলো পূরণের অপেক্ষায়।