ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রঙিন সকালের অপেক্ষায়

আবু তালহা আকাশ
🕐 ১১:৫৩ অপরাহ্ণ, মে ০৯, ২০২০

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ও দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। যা বর্তমানে ৩৪টি বিভাগ নিয়ে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম বিভাগ ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি। এই বিভাগে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ২৯ তম ব্যাচে (ইবির ৩৩ ব্যাচ) অনেক আশা আকাঙ্খা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। বিভাগের ক্লাস শুরু হয়েছিল ১৫ জানুয়ারি ২০১৯। সকলে মিলে আমাদের ৩৩ ব্যাচের নামও নির্ধারণ করা হয় ‘সঞ্জীবনী-৩৩’।

লেখাপড়া, আড্ডাবাজী সবকিছু মিলিয়ে দেখতে দেখতেই যেন একটি বছর অতিক্রম করে ফেললাম। সেই দিনটিকেই স্বরণীয় করে রাখার জন্য ১৫ জানুয়ারি ২০২০ ব্যাচডে অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেছিলাম আমরা। ইবির ইতিহাসে আমরাই প্রথম সকল বিভাগ একসাথে দিনটি উদযাপন করেছি। সকলেই ‘সঞ্জীবনী-৩৩’ লোগোযুক্ত সাদা টি-শার্ট পরে ইচ্ছেমতো সবাই সবার টি-শার্টে লেখালেখি পরক্ষণেই রং মাখামাখি। বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন স্যারসহ অন্য স্যার-ম্যামদের নিয়ে নিজ বিভাগে কেক কাটা। এরপর সকলে মিলে ব্যান্ডের তালে বিশাল র‌্যালী। এসব যেনো ছিলো স্মৃতির পাতায় লেখে রাখার মতো বিষয়।

বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ আসকারী প্রোভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও ছাত্র উপদেষ্টা স্যারকে নিয়ে কেক কাটা হয়েছিল।

কিছুক্ষণ চললো স্যারদের জ্ঞানগর্ভ ও দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা। দুপুরের খাবারের পর ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রায় ২০০০ ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে এমন একটি অনুষ্ঠান সকলের মনেই এক অন্যরকম অনুভূতির সঞ্চার করে।

খুবই হাসি আনন্দেই কাটছিল সময় গুলো। কিন্তু হঠাৎ করেই প্রকৃতি যেন নিষ্ঠুর হয়ে গেলো। মহামারি করোনা ভাইরাসের কবলে পড়ে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বন্ধ হয়ে গেল

অফিস-আদালত। শুধু আমাদের দেশ নয় পুরো পৃথিবী যেন একেবারে থমকে গেছে। ভাইরাসের কঠোরতায় ধীরে ধীরে বাড়ছে ছুটির সময়সীমা। তারই সাথে বাড়ছে সেশনজটে আটকে পড়ার আশঙ্কা।

এখন বাসায় বসে সোনালী স্মৃতিগুলো মনে করে যেমন আনন্দ পাচ্ছি তার সাথে থাকছে শঙ্কা। আমরা সবাই কি সুস্থ ভাবে প্রাণের ক্যাম্পাসে ফিরতে পারবো? নাকি হারিয়ে যাব বা হারিয়ে ফেলব কোন এক বন্ধুকে? অবশ্যই এমনটি চাই না।

স্বপ্ন দেখছি এমন একটি সকালের যেদিন সকাল হলেই যেন চারিদিকে শুনতে পাই কোভিড-১৯ নামক ভাইরাসটি আর নেই।

আমরা আবারও ফিরতে পারবো আমাদের রঙিন ক্যাম্পাসে রঙিন রূপে।

আবারো সেই রাত জেগে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠা, ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্টের প্যারা বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজীতে সময়গুলো যেন রঙিন হয়ে উঠে।

আবারো যেন সুস্থ ভাবে, সুস্থ এক ক্যাম্পাসে ফিরতে পারি এই প্রত্যাশাই করি।

 
Electronic Paper