স্বপ্ন যখন লেখক হবার...
আখতার হোসেন আজাদ
🕐 ৭:২১ অপরাহ্ণ, মে ০২, ২০২০
প্রতিদিন আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন খবরাখবর সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পারি। এজন্য সংবাদপত্রকে সমাজের আয়না বলা হয়। সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি সংবাদপত্রে চিঠিপত্র, উপসম্পাদকীয় বা মতামত বিভাগ থাকে; যেখানে সাধারণ নাগরিকেরা তাদের নিত্যদিনের সমস্যা, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নিজস্ব যুক্তি দিয়ে গঠনমূলক বিশ্লেষণধর্মী মতামত তুলে ধরেন।
আজকের যুবসমাজ আগামী দিনের রাষ্ট্রযন্ত্রের পরিচালক। শিক্ষিত তরুণদের সৃজনশীল জ্ঞানচর্চায় উৎসাহী এবং লেখালিখিতে আগ্রহী করে গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করা সংগঠন ‘বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম’।
বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের বিভিন্ন কলেজে ‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’ সেøাগান নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে তরুণ লেখকদের এ সংগঠনটি। মেধা ও ইচ্ছেশক্তি থাকা সত্ত্বেও অনেক শিক্ষার্থী কিভাবে লিখতে হয় বা পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী করে লেখা পাঠাতে হয় তা ধারণা রাখেন না। তরুণ কলাম লেখক ফোরাম একজন শিক্ষার্থীকে লেখালিখিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে একটি প্ল্যাটফর্মের ন্যায় কাজ করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
যাত্রা শুরুর পর থেকেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখালেখিতে উৎসাহী করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা, সাহিত্য আড্ডা, বিষয়ভিত্তিক বই পাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যাচ্ছে।
এছাড়াও পত্রিকায় লেখা প্রকাশ হলে লেখককে জানিয়ে দেয়া হয় এ ফোরামের পক্ষ থেকে। স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নানা সমস্যা ও অসঙ্গতি এবং নিজস্ব উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তি দিয়ে এসব সমস্যার সমাধান, সম্ভাবনার কথা প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় লিখে যাচ্ছেন এই ফোরামের সদস্যরা।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা লাভের পাশাপাশি নিজেরা যেমন বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তর জ্ঞানার্জন করছে, তেমনই এ তরুণ
লেখকবৃন্দ থেকেই সৃষ্টি হবে দেশের ভবিষ্যৎ বুদ্ধিজীবী।