ভিন্ন সাজে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
মাইনুদ্দিন পাঠান
🕐 ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ০১, ২০২০
বর্ণিল আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দুই বছর পেরিয়ে শাড়ি-পাঞ্জাবি ডে উদযাপন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। আনন্দ-উচ্ছ্বাসে, রঙে-রূপে এক অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়ে প্রথমবারের মতো শাড়ি-পাঞ্জাবি ডে উদযাপন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ১৩তম ব্যাচ।
সকলের ভোটে ব্যাচের নামকরণ করা হয় অরিত্রিক-১৩। দিনটি ছিল ১৭ ফেব্রুয়ারি ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষার্থীদের এই দিবসটি পালন করা পরিকল্পনা থাকলেও অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে দিনটি উদযাপিত হয়। দিবসটির আগের দিন পুরো ক্যাম্পাসের সকলের মুখে অরিত্রিক-১৩। সকাল থেকে শুরু হতে থেকে শাড়ি-পাঞ্জাবি পড়া শিক্ষার্থীদের ভীড়। কারো গায়ে হলুদ পোশাক কেউ পরেছে নীল পোশাক আবার কিছু এসেছে নীলের বেশে কারো পরনে কালো শাড়ি। ভিন্ন ভিন্ন রঙের পোশাকে মিছিলে শামিল হতে থাকে অরিত্রিক-১৩ এর শিক্ষার্থীরা।
‘১০১ একরে আলোড়ন, অরিত্রিকের বিচরণ’ স্লোগানে প্রকম্পিত হতে থাকে ক্যাম্পাস। প্রতিটি গলি প্রদক্ষিণ শেষে জড়ো হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে। এখান থেকে শুরু হয় ফটো তোলার পর্ব। অরিত্রিক-১৩ ঘিরে দেয়ালে আঁকা হয় নজর কাড়ানো গ্রাফিতি। সেখানে ফটো তুলতে সিরিয়াল ধরতে থাকে শাড়ি-পাঞ্জাবিওয়ালা ১৩ এর শিক্ষার্থীরা।
দিবসটির ২য় পর্বে শুরু গানের আসর দিয়ে। বিকেলের আড্ডায় গানের সুরে তৈরি হয় এক আনন্দঘন পরিবেশের। সন্ধ্যার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে আকাশের পানে ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠে ১৩ এর শিক্ষার্থীরা। সমাপনী পর্বে সন্ধ্যা ঘনিয়ে যখন পশ্চিম আকাশে লাল রঙের বেশে দেখা দেয় ঠিক সেই মুহুর্তে আতশবাজিতে উল্লাসিত সকলে।
দিবসটিকে শাড়ি-পাঞ্জাবি ডে বলার কারণ জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাচ ডে পালন হয়নি আমরা প্রথম সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি ডে উদযাপন করছি। এই দিবসটিতে আমরা
সকল ছেলেদের পাঞ্জাবি আর মেয়েদের শাড়ি পরিধান করে আসার জন্য বলেছি তাই দিনটিকে শাড়ি-পাঞ্জাবি ডে বলে পালন করছি।