স্বপ্নবাজ তরুণদের গল্প
রাশেদ রাজন ও উমর ফারুক
🕐 ৪:১৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
মানুষ নাকি স্বপ্ন বুননের কারিগর। দোলনা থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্বপ্ন বুনে চলে আত্মপ্রত্যয়ী মানুষ। এগিয়ে যায় বহদূর। তেমনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নবাজ তরুণদের নিয়ে গড়া প্রত্যয়ী-৬৫ ব্যাচ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরছেন রাশেদ রাজন ও উমর ফারুক।
আমরা করবো জয়, আমরা করবো জয় একদিন, আহা বুকের গভীরে আছে প্রত্যয়। আমরা করবো জয় একদিন। গানটি রচিত হয়েছিল আত্মপ্রত্যয়ীদের জন্য। মানুষ যখন কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণ করে তখন থেকেই স্বপ্ন দেখে আকাশ ছোঁয়ার। জীবন জয়ের স্বপ্ন বুনতে প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যায় তারা। দুরন্তপনা সেই স্কুল, কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে আজ সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে তাদের অবস্থান। সেখানে তাদের স্বপ্নগুলো হাজারো রঙয়ে রাঙ্গায়িত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কারণ তারা প্রত্যয়ী। এতক্ষণ বলছিলাম সেই ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যয়ী-৬৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কথা। ভর্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে মতিহারে এই সবুজ চত্বরে পা রাখে প্রত্যয়ীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধনী ক্লাসের পর থেকেই সিনিয়রদের ধারাবাহিকতায় ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র-ছাত্রীরা একত্রিত হয় নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করতে। সকলের সিন্ধান্তক্রমে নিজেদের প্রত্যয়ী মনোভাব প্রকাশ করে ব্যাচের নাম রাখেন প্রত্যয়ী-৬৫। পরিবার-পরিজনদের স্নেহ, মায়া-মমতা ফেলে আসা সেই শিক্ষার্থীরা সুখ-দুঃখে একে ওপরে আবদ্ধ হয় ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে। এ যেন পরিবারের বাহিরে ৫ হাজার সদস্যের আরেকটি পরিবার।
সময়ের পরিক্রমায় তাদের আড্ডা, পড়াশোনা, আনন্দ, দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করার মাত্রাটাও বেশ চোখে পড়ার মত। প্রত্যয়ী-৬৫তম ব্যাচের বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কার্যক্রম নিজেদের গণ্ডি পেরিয়ে এখন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাস জুড়ে। ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, খেলাধুলার আয়োজন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কার্যক্রমের সাথে জড়িয়েছে নিজেদের। হয়ত তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বল্প সময়টুকু কেটে যাবে আনমনেই। ৫ বছরের সময়ের মধ্যে ক্যাম্পাসে পদচারণা ঘটবে অনেক নবীনদের, পরিবর্তন হবে অনেককিছু, পাওয়া-না পাওয়ার গল্পে ভরে যাবে তাদের জীবন ডায়েরির পাতাগুলো।