প্রিয়মুখ গোপাল রায়
মাজহারুল ইসলাম রকি
🕐 ৩:১৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
রাজশাহী বিশ্বদ্যালয়ের গ্রাফিক্স ডিজাইন, ক্রাফ্ট অ্যান্ড হিস্টোরি অব আর্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী গোপাল রায়। ক্যাম্পাসে অনেকেই নানাভাবে চিনে তাকে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভেতর বক্তব্য দেয় বলে অনেকে বক্তা বলে ডাকে। নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তির জন্য অনেকে ডাকে বজ্রকণ্ঠ বলে। বাংলাদেশের কম-বেশি সব জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তার লেখা ছড়া, কবিতা, গল্প, কলাম, ফিচার।
তাই তাকে অনেকে কবি বলেও ডাকেন। শুধু তাই নয়, ক্যাম্পাস পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, ক্যাম্পাসের পাশে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকারসহ অন্যান্য সংগঠনের সাথে স্বেচ্ছাসেবী কাজ করে পুরস্কারও পেয়েছেন অনেক। কবিতা আবৃত্তি, একক অভিনয়, উপস্থিত বক্তৃতা, রচনা প্রতিযোগিতার একাধিক উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রথম হওয়ার পুরস্কার আছে তার ঝুলিতে। আর সেসব পুরস্কারের বই দিয়ে নিজেই গড়ে তুলেছেন পারিবারিক পাঠাগার।
শিশুবিবাহ রোধ ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার আদায়ে করেছেন শিশু সাংবাদিকতা। শিশুবিবাহ রোধে নিজ রচনায় ইউনিসেফের তত্ত্বাবধায়নে করেছেন পথ নাটকও। ইউনিসেফ ও প্ল্যান বাংলাদেশের বিভাগীয় শিশু সংসদের সেরাদের সেরা হয়ে হয়েছিলেন স্পিকার। এতকিছু করলেও পিছিয়ে নেই একাডেমিক দিক দিয়েও। ঠিক সময়েই হাজির হন ক্লাসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের উপস্থিতিতে ৯৫ শতাংশ উপস্থিত থেকে হয়েছেন কলেজিয়েট। পেয়েছেন সিজেডএম শিক্ষাবৃত্তি। শুধু তাই নয়, সকাল ছয়টা ও রাতে করান তিনটা টিউশনিও। একটা টিউশনির টাকা দিয়ে নিজে চলেন আরেকটা টিউশনির টাকা দিয়ে তার দুই বোন ও একজন পথ শিশুর পড়ালেখার খরচ চালান। আর একটা সময় ফ্রি পড়ান সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের।
তার স্বপ্নের কথা জানতে চাইলে বলেন, প্রতিষ্ঠিত হয়ে দুস্থদের জন্য বৃদ্ধাশ্রম করতে চাই যেখানে অবহেলিত বৃদ্ধদের সম্মানের সাথে পরিচর্যা করতে চাই প্রীতির বন্ধনে তারাও জেনে যাবে তারা পৃথিবীর অবহেলিত নয়, তারা সম্পদ।