ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতের আড্ডা

কে এম হিমেল আহমেদ
🕐 ৩:১৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০

উত্তরের হিমালয়ের হিম বায়ু আর মৃদু শৈত্য প্রবাহে হাড় কাঁপানো শীত অনুভব করে থাকে গোটা উত্তর বঙ্গের জনপদ। এই শীতের দিনে কোন কাজেই মন বসে না। নানান কাজে ব্যস্ত ডুবে থাকা মানুষটিও একটু বিরাম নিতে চায় এই শীতকালে। প্রকৃতির রূপে এই শীতের সময়ে শুষ্কতায় ডুবে যায় বেরোবির ক্যাম্পাস। রংপুর শহরের অদূরে বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাসটি নিবিড় ছায়ায় ঘিরে রেখেছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

এখানকার ছোট বড় বেড়ে ওঠা বৈচিত্র্যময় গাছপালা, বিভিন্ন চত্বর, ক্যাফেটেরিয়া ও রাস্তার চারপাশে বিভিন্ন প্রকারের জীববৈচিত্র্য বিমোহিত করে সবাইকে। সারি সারি গাছে অবিরাম মধুর সুরে স্বাগত জানায় নাম না জানা হরেক রকমের পাখির কিচির মিচির ডাকাডাকি। মজার বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের উদ্যোগে ক্যাম্পাসকে পলিথিন মুক্ত করেছেন। শীতের শুরু থেকেই ভবনগুলোর সামনে বাহারি ফুলের পরির্চযায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মালী-মালীনিরা।

এগুলোতে মনে হয় যেন দিনে দিনে বেরোবি ক্যাম্পাসটি ফিরে পাচ্ছে নতুন মাত্রা। এই ক্যাম্পাসে নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই বিভিন্ন দর্শনার্থীর পদচারণা লক্ষ্য করা যায়। বিকেলে ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণ গিটারের টুংটাং শব্দে, একতারা, বাঁশির সুর, আর জিপসি ঝনঝন শব্দে শিক্ষার্থীর আড্ডায় মুখরিত হয় প্রতিনিয়ত। মার্স্টাসের শিক্ষার্থী কিরণ বড়–য়া বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আমাদের খুব দ্রুতই ছেড়ে যেতে হবে প্রিয় ক্যাম্পাসটি কিন্তু এত সুন্দর অপরূপ সাজানো গোছানো ক্যাম্পাসের জীবনটা ভুলবার মত না।

বিশেষ করে শীতের দিনে কত শত স্মৃতি জড়িয়ে আছে আমাদের ক্যাম্পাসটাতে। সেদিন বিকেলে আবাসিক হল থেকে পার্কের মোড়ে যেতে চোখে পড়ল ক্যাফেটেরিয়ার সামনে একদল তরুণ-তরুণীর সঙ্গে মানুন, রবিউল, জুনায়েদ, ভেরুনিকা, মুস্তাফিজ, সেতু, বাঁধন, সুহি, খুশি ক্লাস শেষে বসেছে আড্ডায় কথা হলো তাদের সাথে জানালো শীতের মিষ্টি বিকেলটা উপভোগ করাটা সবাই পছন্দ করে। আমরাও তার ব্যতিক্রম নই। আমরা প্রতিদিনই ক্যাম্পাসে শীতের বিকেলটা উপভোগ করি।

 
Electronic Paper