অতিথি পাখির অভয়ারণ্য
সনজিৎ সরকার উজ্জ্বল
🕐 ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
শত-সহস্র মাইল পাড়ি দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জলাশয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসছে। তবে এদের দুরন্তপনা দেখে মনে হবে এ জায়গা যেন তাদের আপন নিবাস। প্রতিবারের মতো চলতি শীত মৌসুমে অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠেছে সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনের লেক, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ও প্রীতিলতা হল সংলগ্ন লেক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনে ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র’র দুটি জলাশয়ে অতিথি পাখির পদচারণা চোখে পড়ার মতো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাখি গবেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর শীতপ্রধান দেশের পাখি তীব্র শীত থেকে বাঁচতে পাড়ি জমায় বিভিন্ন নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে। এ সময় হাজার হাজার পাখি অতিথি হয়ে চলে আসে বাংলাদেশে। অতিথি পাখিরা সাধারণত আসে হাওর এলাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের জলাশয়ে। শীতকালে অর্থাৎ নভেম্বর-জানুয়ারিতে অতিথি পাখি আসে, আবার মার্চের শেষ দিকে ফিরে যায় আপন ঠিকানায়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব পাখি আসে, তার মধ্যে বেশিরভাগই হাঁস জাতীয় ও পানিতে বসবাস করে। এর মধ্যে সরালি, পচার্ড, ফ্লাইফেচার, গার্গেনি, ছোট জিরিয়া, মুরগ্যাধি, কোম্বডাক ও পাতারি অন্যতম। এ ছাড়া অন্য প্রজাতির পাখির মধ্যে আছে মানিকজোড়, কলাই, ছোট নগ, জলপিপি, নাকতা, খঞ্জনা, চিতাটুপি, লাল গুড়গুটি প্রভৃতি।
অন্যান্য বারের চেয়ে এবার চার থেকে পাঁচগুণ বেশি অতিথি পাখি এসেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্যাম্পাস প্রায় এক মাসের মতো বন্ধ থাকায়, পাখির সমাগম বেশি বলে মনে করছেন প্রাণিবিদরা। পাখিদের অভরায়ণ্য তৈরিতে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ তাদের। শীতের ছোবল থেকে বাঁচতে শত শত মাইল আকাশপথ পাড়ি দিয়ে, প্রতি বছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসে অতিথি পাখি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান বলেন, ‘এবার পাখি অন্য বছরের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি এসেছে। জাহাঙ্গীরনগরে পরিযায়ী পাখিদের জন্য অনুকূল পরিবেশ রয়েছে।